‘সত্যি কথা বলতে গেলে আমার মনটা ভালো না’

প্রকাশিতঃ 11:25 pm | September 22, 2018

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা, কালের আলো:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কারও সঙ্গে আপস করি না। উন্নয়নের স্বার্থে মাথা নত করতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে মন্ত্রীদের হা-পা ধরতেও দ্বিধা করি না।

তিনি বলেন, এক অনুষ্ঠানে আমার নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন- তোর বয়স কি এখনো আগের মতো আছে? আমি তখন বলেছি, আমার বয়স যদি ৮০ কিংবা ১০০ বছরও হয় আমার এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমি কাউকে চিনি না। আগে আমারটা দেন তারপর কথা হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার তুষারধারা এলাকায় পুলিশ আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে আমার মনটা ভালো না। আমি এখানে মেম্বারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে তো এখন আর কথাই বলি না। প্রশ্ন করেন কেন? ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কাজ করেছি অথচ এখানে আসার সময় দেখলাম রাস্তাটা ভাঙা। কেন আমাকে জানানো হলো না। জানানোর দায়িত্বটা তো আপনাদের। জানানোর পর আমি তাহলে বলতে পারতাম কাজটা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি বলেন, আমার দায়বদ্ধতা আছে। কারণ আজকে আপনারা আমাকে ভিআইপি হিসেবে সম্মানিত করেছেন। সারাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে ৩০০ মানুষকে আল্লাহ সম্মানিত করেছেন। হুকুম দিয়েছেন আল্লাহ, তামিল করেছেন আপনারা। তার ওপরে শুধু ভিআইপি সম্মানই দেননি সঙ্গে আবার বেতনও দেন, আরও অনেক সুবিধা দেন। তাহলে দায়িত্বটা আমার কিন্তু থাকেই।

শামীম ওসমান বলেন, কয়েকদিন আগে পার্লামেন্টে বসে সব এমপিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছিলেন। উন্নয়ন নিয়ে কথা উঠার পর তিনি বললেন, আগে মানুষকে শান্তি দাও। মানুষ টাকা চায় না, পয়সা চায় না, রাস্তাঘাট চায় না কিন্তু শান্তি চায়। মানুষ চায় আমি আমার মতো কামামু, আমার ঘরের মধ্যে যেন সন্ত্রাসী চোর ডাকাত না আসে।

তিনি বলেন, আমাকে ভোট দেন আমি বলব না, আমি ভোট চাইও না। আম গাছ লাগাইলে আম খাবেন, জাম গাছ লাগাইলে জাম খাবেন আর কাঁঠাল গাছ লাগাইলে কাঁঠাল খাবেন। তবে আমি একটা কথা বলতে চাই, এখানে কেউ একটা মাদক বিক্রি করতে পারবে না, সন্ত্রাস করতে পারবে না জঙ্গিবাদী কাজ করতে পারবে না।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী হাসান ইমরান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (আইসিটি) গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email