ময়লা ‘ফেরত’ দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ মেয়র আতিকের
প্রকাশিতঃ 7:26 pm | March 08, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে বার বার অনুরোধ করার পরেও রাস্তা জুড়ে ময়লার স্তুপ রাখায় এবার অভিনব প্রতিবাদ করলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মিরপুর সেকশন-৬ এলাকায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত সরকারি আবাসনের গেটে এমন ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর প্রধান সড়কের পাশে বাসাবাড়ির বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। এসব আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকে কাপড় চাপতে হয় পথচারীদের। সোমবার(০৮ মার্চ) সে এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচিতে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে মেয়র আতিকুল ইসলামের।
এ সময় তিনি সময়ক্ষেপণ না করে সেই ময়লা ফেরত পাঠান সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনে। কারণ সেখান থেকেই এই ময়লা রাস্তায় ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডিএনসিসি মেয়রের এমন পদক্ষেপ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন এই সড়কে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের বর্জ্য ফেলা হয়। এতে এই পথে চলতে সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেখুন এখানে ৬৫০টার অধিক ফ্লাট আছে। যারা এই ভবনটা করেছেন, যারা এখানে থাকেন এটা দুঃখজনক ব্যাপার। যারা ভবন করেছেন তারা চিন্তা করেন নাই ৬৫০টি ফ্ল্যাট বা ৭২০ ফ্ল্যাটের মালিকরা ময়লাটা কোথায় ফেলবে? ওনারা ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দিয়েছে, যারা সরকারি কর্মকর্তা উনারা যদি রাস্তায় ময়লা ফেলেন বাকিরা কি করবে?

তিনি বলেন, এজন্য বলেছি ময়লাটা পরিষ্কার করে ওনাদের সামনে যে সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা আছে সেখানে ময়লাটা ফেলে দেন। আমি বলেছি ভেতরে জায়গা দিন ওনারা বলেছে ওনাদের ভেতরে গন্ধ হবে। ভেতরে গন্ধ হবে আর রাস্তার ওপরে ফেলে দিচ্ছে এটা তো হাজার হাজার জনগণ গন্ধ পাচ্ছে। তাই আমি তাদের একটা ম্যাসেজ দিতে চাই যে আপনার দ্রুত সকলের সাথে আলাপ করে সুন্দর করে একটা জায়গা দিন আমি এসটিএস করে দেব। এসটিএসের জন্য টাকা চাচ্ছি না। আমরা নিজের খরচে এসটিএস করে নেব।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রত্যেকের উচিত যার যার জায়গায় খাল পরিষ্কার করুন, এসটিএসের জন্য জায়গা রাখুন। আমরা সবাই মিলে শহর পরিষ্কার রাখতে চাই। শহর তো এমনিতেই অপরিকল্পিত এভাবে যদি আরও অপরিকল্পিত করে ফেলি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে কিভাবে। আসুন সবাই মিলে শহরটাকে পরিষ্কার রাখি।
এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র পাশের খাল পরিদর্শন করেন।
কালের আলো/এমএইচএ/এআরজে