রিজেন্ট সাহেদের সহযোগী তরিকুলের দোষ স্বীকার

প্রকাশিতঃ 9:03 pm | July 24, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অনিয়মের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলী। ১২ দিন রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৪ জুলাই) শিবলীকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

শিবলী ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ খাস কামরায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমৃকর্তা এসআই জালাল আহমেদ বলেন, শিবলী তাদের অপকর্মে নিজেকে এবং হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৯ জুলাই অভিযান চালিয়ে তরিকুল ইসলাম শিবলীকে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করে বলেন, আসামি সাহেদের অন্যতম সহযোগী শিবলী। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তথ্য পেতে তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এসময় দ্বিতীয় দফায় আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের প্রমাণ মেলে। পরে সেখান থেকে আটজনকে আটক করে র‍্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। পরদিন রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাই সিলগালা করে দেওয়া হয়।

৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করে র‍্যাব। মামলায় হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় করা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের জেল। রিজেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ছাড়াও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো কয়েকজন। এরা হলেন- আহসান হাবীব, আহসান হাবীব হাসান, হাতিম আলী, রাকিবুল হাসান ওরফে সুমন, অমিত বণিক, আব্দুস সালাম, আব্দুর রশীদ খান ওরফে জুয়েল। কামরুল ইসলাম নামের এক আসামির বয়স কম হওয়ায় তাকে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

কালের আলো/এসডিএম/আরকে