‘নির্বাচন কি কারো ছেলে বা মেয়ের বিয়ে?’

প্রকাশিতঃ 3:48 pm | May 04, 2018

পলিটিক্যাল প্রতিবেদক, কালের আলো:

নির্বাচনে আসার জন্য কাউকে জোর করব না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কি কারো ছেলে বা মেয়ের বিয়ে? যে আপনি (ওবায়দুল কাদের) আমন্ত্রণ জানাবেন না, জোর করবেন না। তিনি বলেন, বছরের শেষার্ধে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ সংসদ নির্বাচন কোন ‘পদ্ধতি’তে হবে তা দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি’ শীর্ষক এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

খসরু বলেন, নির্বাচন দেশের ১৬ কোটি মানুষের অনুষ্ঠান। এই ১৬ কোটি মানুষ নির্বাচনে যোগ দেবে। আপনারা না চাইলেও দেবে। ১৬ কোটি মানুষ নির্ধারণ করবে সেই অনুষ্ঠানটা (নির্বাচন) কিভাবে হবে। সেই অনুষ্ঠান তো আপনি (ওবায়দুল কাদের) নির্ধারণ করতে পারেন না। আপনার ছেলে-মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে কে আসবেন আর কে আসবেন না সেটা আপনি নির্ধারণ করতে পারেন। সুতরাং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দয়া করে এ ধরনের মন্তব্য করবেন না।

আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই এ নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু দিনের শেষে আমি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরিস্থিতির অবনতি হলে তা নিয়ন্ত্রণে একটি করে শক্তিশালী ‘সমন্বয় কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেটুকু ভোট ডাকাতি করার বাকি রয়েছে, সেটা লুণ্ঠন করতেই এটা করা হয়েছে।

নির্বাচনের জন্য কোনো স্পেস নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন আমার চোখে পড়ছে না। জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের একটি নীল-নকশা আমি দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন বলে আমার চোখে কিছু পড়ছে না।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহসহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।

 

কালের আলো/এসকে

Print Friendly, PDF & Email