১০ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় হকাররা

প্রকাশিতঃ 5:28 pm | May 07, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ এবং ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধসহ দশ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে হকাররা। বাংলাদেশ হকার ইউনিয়নের ব্যানারে মঙ্গলবার(৭ মে) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার ও নগর ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ হকাররা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘটনাস্থলে এসে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার কথা জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

‘রমজানে ফুটপাতে কোনো দোকান বসবে না’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন ঘোষণার একদিন পরই রাজপথে আন্দোলন শুরু করেছে হকাররা।

সোমবার দুটি আলাদা সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, ডিএসসিসির কোনো ফুটপাতে হকার বসতে পারবে না। কেবল মতিঝিল অফিস এলাকায় অফিস শেষে হকাররা বসতে পারবে, তবে এই নিয়ম সিটির অন্য কোনো এলাকার জন্য প্রযোজ্য হবে না।

হকারদের সুবিধার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুপারিশে ১১টি হলিডে মার্কেট করার কথাও জানান মেয়র সাঈদ খোকন।

তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ হকাররা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭ মে হকারদের ফুটপাতে বসার বিষয়ে মেয়র ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। তবে এর আগেই হকারদের তুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মনির হোসেন নামের এক আন্দোলনকারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অফিস টাইমের পর বিকাল ৪টা থেকে হকার গো বইতে দেয়া হোক। ছুটির দিনগুলাতে সারাদিন হকার গো বহার ব্যবস্থা রাখুক।‘

এদিকে হকারদের আন্দোলনের কারণে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেলা ১১টা থেকে আটকে রাখা গাড়িগুলোতে থাকা মানুষের ভোগান্তি এর মধ্যেই চরমে পৌঁছেছে। কেউ কেউ হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। বেশি বিপদে পড়েছে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনের চালকরা।

এদিকে অবরুদ্ধ সড়কে গণমাধ্যম ও পুলিশের পরিবহন চলার চেষ্টা করলে উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসে আন্দোলনকারীদের একাংশ।

হকার ইউনিয়নের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না, হকারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, চাঁদাবাজি বন্ধ, হকারদের ওপর দমন-পীড়ন নির্যাতন বন্ধ, প্রকৃত হকারদের তালিকাভুক্তকরণসহ আইডি কার্ড প্রদান, দখলকৃত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, হকারদের ট্যাক্সের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ, জাতীয় বাজেটের জন্য বরাদ্দ রাখা, হকারদের ব্যবস্থাপনা জাতীয় নীতিমালা তৈরি।

কালের আলো/এমএ/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email