তারিক আহমেদ সিদ্দিকের কারণে ফাঁসলেন স্ত্রী-কন্যা, ৪ মামলা
প্রকাশিতঃ 5:46 pm | July 17, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন, অস্বাভাবিক লেনদেন ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, দুই কন্যা বুশরা সিদ্দিক ও নুরিন তাসমিয়া সিদ্দিকের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
স্ত্রী ও দুই কন্যার মামলায় মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিককে আসামি করার সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম মামলায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ২৮,৫৯,৬৩,২০২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখায় এবং তার নামে ৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩১,২৫,৭১,১৭২.৯০ টাকা জমা এবং ৩০,৭৪,৮৯,৮১১টাকা উত্তোলনসহ মোট ৬২,০০,৬০,৯৮৪ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে পরবর্তীতে স্থানান্তর, হস্তান্তর বা রূপান্তর করায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তারিক আহমেদ সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার স্বামী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২৫,৭৬,৯৩,২১৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তার নামীয় ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৯,০০,৬৪,০৩৬.৮০ টাকা জমা এবং ১০,৩৭,৭৩,৩৫১টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৫৯,৩৮,৩৭,৩৮৭.৮০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। পরবর্তীতে তা স্থানান্তর, হস্তান্তর বা রূপান্তর করায় শাহিন সিদ্দিক এবং স্বামী তারিক আহমেদ সিদ্দিককে আসামি করে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আসামি নুরিন তাসমিয়া সিদ্দিক, তার পিতা (তারিক আহমেদ সিদ্দিক) পাবলিক সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৩,৩৭,১৭,১৯২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। ফলে নুরিন তাসমিয়া সিদ্দিক এবং তার বাবা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার অভিযোগ এনে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
চতুর্থ মামলায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বুশরা সিদ্দিক, তার বা (তারিক আহমেদ সিদ্দিক) পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৪,০২,৯৭,০৮৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। ফলে বুশরা সিদ্দিক ও এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৬ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কালের আলো/এমএএইচএন