রাজধানী ঘিরে বৃত্তাকার রেলপথ, চীনের সঙ্গে চুক্তি সই
প্রকাশিতঃ 7:58 pm | April 30, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
‘যানজটের শহর ঢাকা’ এ অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে রাজধানী চারদিক ঘিরে বৃত্তাকার রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
ঢাকা মহানগরীর চারপাশে ৮১ দশমিক ৯ কিলোমিটার বৃত্তাকার রেলপথ তৈরির জন্য চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যানজট, কর্মঘণ্টা এবং ট্রেন ব্যবহারে যাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের মে মাসে থেকে এই রেলপথ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃত্তকার রেলপথটি গাজীপুরের টঙ্গী থেকে শুরু করে আবার টঙ্গী স্টেশনে এসে শেষ হবে।
টঙ্গী, ধউড়, উত্তরা, বিরুলিয়া, মিরপুর চিড়িয়াখানা, শঙ্কর, নবাবগঞ্জ, বাবুবাজার, সদরঘাট, শ্যামপুর, ডেমরা, পূর্বাচল ও তেরমুখ হয়ে আবার টঙ্গী গিয়ে শেষ হবে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়েয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয় সিউয়াং সার্ভে চায়না রেলওয়ে, ডিজাইন গ্রুপ কম্পানি লিমিটেড চায়নার মধ্যে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও যুক্ত রয়েছে বেটস কনসাল্টিং সার্ভিস লিমিটেড বাংলাদেশ ও ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড অ্যাডভাইজার লিমিটেড বাংলাদেশ এর মধ্যে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও চায়না রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রায় দুই কোটি লোক ঢাকা শহরে বসবাস করে। ঢাকার ভেতরে মানুষ মেট্রোরেলে চলাচল করবে। ঢাকার চারপাশে চলাচলের জন্য সার্কুলার ট্রেন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।।
এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সময় ধরা হয়েছে ১ মে ২০১৯ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত।
মোট ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে তিন বছর।
পুরো রেলপথে কোনো লেভেলক্রসিং থাকছে না। লেভেলক্রসিং থাকলেই সৃষ্টি হয় যানজট। এ জন্য পুরো রেলপথটাই হবে উড়ালপথ।
ঢাকার এলিভেটেড বা উড়ালপথে স্থানে স্থানে থাকবে ২০টি রেলস্টেশন। সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ মিনিট পর পর দুই দিক থেকেই চলবে ট্রেন। রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলাচলে ২৫ মিনিট লাগবে। রেলপথের টিকিট ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হবে স্মার্ট কার্ড।
কালের আলো/এমএ/এসআর