প্রতি জেলায় মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 6:32 pm | April 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশের প্রতি জেলায় গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু এমপি।

তিনি বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী সারাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছিলো, তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। এজন্য প্রতি জেলায় মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

বুধবার (১০ এপ্রিল) খুলনা নিউজপ্রিট মিলে গণহত্যার স্মৃতিফলক উম্মোচনের সময় একথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি স্কুল-কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীদের গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত এধরনের স্থানগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার জন্য আহ্বান জানান।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী নগরীর সাউথ ট্রাল রোডে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘এ গণহত্যা জাদুঘর আমাদের ১৯৭১ এর ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দেবে। আমাদের মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত করবে। গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবে। ভবিষ্যতে আর কোথাও যেন এমন অপরাধ সংঘটিত না হয় তা নিশ্চিত করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাদুঘরের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন করা হবে। শুধু তাই নয়, গণহত্যা জাদুঘর ও আর্কাইভের কর্মকাণ্ডে সব সময় সহায়তা করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

পরে প্রতিমন্ত্রী সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবষণা কেন্দ্র, বিভাগীয় জাদুঘর এবং খুলনা শিল্পকলা একাডমির নির্মিতব্য ভবন পরিদর্শন করেন। এসময় জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ও ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন, ড. চৌধুরী শহীদ কাদের, শংকর কুমার মল্লিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, বিভাগীয় জাদুঘরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, জেলা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খুলনা নিউজপ্রিট মিলের ভিতর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রায় ৫০ জনকে হত্যা করে।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email