রমজানের প্রথম জুমায় ষাটগম্বুজ মসজিদে মুসল্লিদের ঢল
প্রকাশিতঃ 2:58 pm | March 07, 2025

বাগেরহাট প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে মাহে রমজানের প্রথম জুমার নামাজে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে এই পবিত্র স্থানে, ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতার অনন্য মেলবন্ধনে নিজেদের নিমজ্জিত করতে। প্রতিদিনের মতো পর্যটকের আনাগোনা কিছুটা কম থাকলেও, এদিন মসজিদ প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে জুমার নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের ভিড়ে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে আসা আলী হোসেন বলেন, প্রতি বছর অন্তত একবার ষাটগম্বুজ মসজিদে আসার চেষ্টা করি, কিন্তু রমজানের প্রথম জুমায় আসতে পারা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে এক ধরনের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি অনুভব করি, যা অন্য কোথাও পাই না। মসজিদের ইতিহাস, স্থাপত্যশৈলী আর পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়।
খুলনা থেকে আসা তরিকুল ইসলাম বলেন, রমজানের প্রথম জুমা একটু বিশেষভাবেই কাটাতে চেয়েছিলাম। তাই বন্ধুদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিই ষাটগম্বুজ মসজিদে নামাজ আদায়ের। আল্লাহর রহমতে এখানে আসতে পেরে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি। মসজিদের পবিত্রতা ও পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
রামপাল থেকে আসা শেখ হাসিব ও সাকিব শেখ বলেন, শুনেছি রমজানে ষাটগম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়ার অনুভূতি অন্যরকম হয়, তাই এবার এখানে চলে এসেছি। সত্যি বলতে, এত সুন্দর পরিবেশে জুমার নামাজ আদায় করতে পারব, তা ভাবিনি। ইমামের কণ্ঠে খুতবা আর নামাজের সময় এক অপার্থিব অনুভূতি কাজ করেছে।
ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রমজানের প্রথম জুমায় প্রতি বছরই মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। তারাবির নামাজের জন্য দুইজন স্বনামধন্য হাফেজ দিয়ে খতম তারাবি পড়ানো হয়। প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ মানুষ ইফতার করেন, কখনো এই সংখ্যা আরও বাড়ে। রমজানে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মুসল্লি আসেন, তাই তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি।
কালের আলো/এসএকে