চালনি বলছে, সুই তোর পশ্চাৎদেশ ফুটা

প্রকাশিতঃ 2:14 pm | October 05, 2017

পাপ করছিল মেয়েটা!!! আমি দুঃখিত, মেয়ে!  তুমি অনেক বড় ভুল করেছিলে!

কেউ যদি অতীতের ভুল শুধরে সামনে আগাতে চায়, তাকে পিছন থেকে টেনে এভাবে নাকানি চুবানি খাওয়ানোর রেওয়াজ কি বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও আছে???

নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য দোষী বলতেই পারি। কিন্তু এভাবে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপে যাওয়ার কোন মানে হয় না।

এমনকি আমি মেয়েটাকে চিনিও না, ওর ভুল ভাল বাংলিশ/ইংলিশ শুনেও যথেষ্ট বিরক্তও ছিলাম। কিন্তু অনেক আগে পড়া একটা আর্টিকেল এর কথা মনে পড়েছিল। সুস্মিতা সেন নাকি হিন্দি মিডিয়ামের স্টুডেন্ট ছিল। পরে গ্রমিং করে ইংরেজি শেখানো হয়। সুতরাং এই মেয়েটিকেও শেখানো সম্ভব ছিল।

কিন্তু কথা তা নয় , কথা হলো ব্যক্তিগত কিছু টেনে কাউকে ছোট করার কোন মানে হয় না। যদি নিয়মের বাইরে কিছু হয়। তদন্ত করে শুধরানো হোক! এসব নোংরামির কোন মানে নাই।

আর আমার পরিচিত এমন কিছু মানুষ এমন সব লিখছে, একবারে, চালনি বলছে, সুই তোর পশ্চাৎদেশে ফুটা!!!

মেয়েটার আগের ছবি দিয়ে বিফোর/আফটার (আগে কেমন ছিল/এখন কেমন হয়েছে) করছে! যেন ৭/৮ বছর আগে তারা খুব ফুলপরি ছিল।

জন্ম থেকে কেউ স্টাইল/ফ্যাশন শিখে আসে না, আস্তে আস্তে নিজেকে উন্নত করে! এই মেয়েটি নিজেকে ওই জায়গা থেকে এই যায়গায় আনতে পেরেছে , তার প্রশংসা করেন!

আজ থেকে এক বছর আগেও আমি মেকআপ করতে পারতাম না। এখন শিখছি। গত বছরের ঈদের নাটকে আমার মেকআপ /গেটাপ আর এ বছরেরটায় অনেক পার্থক্য। কারণ আমি শিখছি, দিনে দিনে নিজেকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করছি। এটাই নিয়ম।

যাই হোক, একটাই পরামর্শ বা অনুরোধ। দয়া করে আরেকজনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার আগে ৩/৪ বছর আগের ফেসবুক টাইমলাইন দেখুন!!!

কিন্তু যদি সত্যিই জানতে চান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন একটা মেয়েও যোগ্য ছিল না। আমি দুঃখিত। তবে এটাই সত্যি।

(অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)