মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চুরি-ছিনতাই হচ্ছে বেশি
প্রকাশিতঃ 9:52 pm | October 26, 2024
কালের আলো রিপোর্ট:
রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। বেশিরভাগ চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি ঘটছে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত। গত দুই মাসে যেসব ছিনতাই ঘটেছে সবই এ সময়ের মধ্যে। এর মধ্যে ডাকাতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা বেশি হানা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের গ্রাহকদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। আর ভোরের দিকে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও নিরিবিলি-অন্ধকার সড়কে রিকশাযাত্রীদের নিশানা বানিয়েছে ছিনতাইকারীরা। বেশিরভাগ চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি ঘটছে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত। গত দুই মাসে যেসব ছিনতাই ঘটেছে সবই এ সময়ের মধ্যে। এর মধ্যে ডাকাতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা বেশি হানা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের গ্রাহকদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। আর ভোরের দিকে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও নিরিবিলি-অন্ধকার সড়কে রিকশাযাত্রীদের নিশানা বানিয়েছে ছিনতাইকারীরা।
ডিএমপির প্রস্তুত করা এক প্রতিবেদন মতে, ছিনতাইকারী বেশি রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, ভাটারা, বাড্ডা, শেরেবাংলানগর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মিরপুর, পল্লবী, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায়। এসব অপরাধে জড়িতদের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তান্তও রয়েছে।
পুলিশ মাঠ পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছে, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে তেজগাঁও বিভাগে। সবচেয়ে কম মিরপুর বিভাগে। থানার তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে শাহবাগ, ভাটারা ও শেরেবাংলানগর থানা এলাকায়। আর সবচেয়ে কম ছিনতাইকারী ও ডাকাতের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে দক্ষিণখান, উত্তরখান ও উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায়।
ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, গত দুই মাসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি বেড়েছে। ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি থানার ওসিকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ছিনতাই-ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি হবে সে এলাকার ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২২ ও ২০২৩ সালের অপরাধ ও মামলার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগে সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সবচেয়ে কম হয়েছে রমনা বিভাগে। তেজগাঁও বিভাগে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি পাঁচ হাজার ৩৩৩টি মামলা হয় আর রমনা বিভাগে সবচেয়ে কম দুই হাজার ৩০০টি। ২০২৩ সালের প্রথম চার মাসে তেজগাঁও বিভাগে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৬৩১টি এবং রমনা বিভাগে সবচেয়ে কম ৬৬৬টি মামলা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে সবার মধ্যে স্বাধীন স্বাধীন ভাব ছিল। প্রত্যেকটি থানায় পাঁচ থেকে আটটি করে টহল গাড়ি ছিল। এ গাড়িগুলো ৫ তারিখের পর অনেক থানায় ছিল না। যে থানায় বেশি গাড়ি ছিল সেখান থেকে অন্য থানায় বণ্টন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়।’ ‘আটটি টহলের জায়গায় একটি টহল কার্যক্রম প্রথম দিকে শুরু করা হয়। দুই মাসের মাথায় বর্তমানে সব থানায় মোটামুটি টহল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। একটা ঘটনা ঘটার পর তদন্তে দিনরাত পরিশ্রম করে আমরা আসামি শনাক্তের পর আসামিও ধরেছি। এটাও পুলিশের একটি সাকসেস। সমাজে অপরাধ যাতে না হয় সেজন্য পুলিশ অনেক প্রিভেন্টিভ কাজ করে।’
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম চৌধুরী বলেন, ‘সমাজে যে কোনো ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব কাজ করছে। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে র্যাবের টহল টিম, গোয়েন্দা টিমসহ চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এসব অপরাধে বেশ কয়েকজন আসামিও ধরেছি আমরা। এছাড়া আদালত থেকে জামিন পাওয়া চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মামলার আসামিদের গোয়েন্দা নজরদারিও করে র্যাব।’
কালের আলো/এমএএইচ/এমকে