প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস সেনাপ্রধানের

প্রকাশিতঃ 10:29 pm | October 10, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

রাজধানীসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই উৎসব চলাকালে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সেনাসদরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনে তাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাপ্রধান সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবারণা উৎসব এবং কঠিন চীবরদান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব পালনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দেন।

আগামী ১৬ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিবর্গ উৎসবটি ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর্যে উদযাপন করে থাকেন। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ পল্লী, জনপদ ও বিহারগুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচি আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

প্রবারণা পূর্ণিমার আরেক নাম আশ্বিণী পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিণী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করেন। তখন তারা বিহারে অবস্থান ও জ্ঞানচর্চা করেন। বর্ষাব্রত পালন শেষে তারা আশ্বিণী পূর্ণিমায় প্রবারণা করেন, যার অর্থ হলো আত্মনিবেদন। বর্ষাব্রতের সময় গোচরে-অগোচরে কোনো ভুল করে থাকলে তার জন্য এদিন জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুর কাছে সংশোধনের আহ্বান জানান তারা। প্রবারণার পর ভিক্ষুদের বহুজনের হিতের জন্য দিকে দিকে বের হওয়া এবং ধর্মপ্রচারের নির্দেশ দিয়ে গেছেন গৌতম বুদ্ধ।


প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশি তার নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবসমূহ অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করবেন-এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।

কালের আলো/এমএএএমকে