৫৭ বাংলাদেশির সাধারণ ক্ষমা পাওয়া বিরাট সাফল্যের : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ 8:42 pm | September 03, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশির সাধারণ ক্ষমা পাওয়াকে দেশের জন্য বিরাট সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৭ জন মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি জেল দেওয়া হয়েছিলো। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউএই’র প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁদেরকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। ইউএই’র প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাঁদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ।

ইউএই’র প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমা পাওয়ায় এই ৫৭ জন এখন মুক্ত মানুষ হিসেবে থাকতে পারবেন এবং তাঁদের পরিবার বড় বিপদ থেকে মুক্ত হয়েছে। আমি যতদূর জানি, তাঁরা ইউএইতে কাজও করতে পারবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দুদেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বে কিনা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আমাদের সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ, তারা সাধারণ ভিসা প্রার্থীদের কোন বাধা প্রদান করছে না। একটি বিশেষ ক্যাটাগরিতে তাদের আইনানুযায়ী করছে, এটা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না

‘রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে কিনা’ এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে। এটা কীভাবে ঠেকানো যায় আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমরা নীতিগতভাবে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে না। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এটা নিয়ে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে সিরিয়াস আলোচনা হবে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো সীমান্ত সিল করা কঠিন। আমরা এটা স্বীকার করি। এখানে অনেকগুলো সোর্স কাজ করে, স্থানীয় লোকজনেরও কারও কারও স্বার্থ জড়িত আছে- সব মিলিয়ে এই অনুপ্রবেশ ঘটে। সেটা আমাদের চেষ্টা করতে হবে আটকানোর।

এর আগে সকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান অ্যান্ড টেকনিক্যাল সহযোগিতা বিষয়ক মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত কোরহান কারাককের (Korhan Karakoc) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এবং ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি (Ghanshyam Bhandari) বৈঠক করেন।

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ