কোটা আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী খোঁজা হচ্ছে: ডিবি

প্রকাশিতঃ 6:17 pm | July 13, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে কি না তা খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের পরও শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সড়কে বসে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অনেক জায়গায় পুলিশের গাড়িতে হাত দিচ্ছে তারা।

শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে। ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা চলছে।’

কেউ আদালতের আদেশ না মানলে, আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি কিংবা সড়ক অবরোধ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার যৌক্তিক কাজটাই করবে বলে হুঁশিয়ার করেন হারুন অর রশীদ।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘কোটার বিরোধিতা করে কিছু লোক, কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করছে। ইতোমধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সবার ভরসাস্থল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।’

কিন্তু কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়ে বিভিন্ন সড়কে বসে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মন্তব্য করে হারুন অর রশদি বলেন, ‘অনেক জায়গায় পুলিশের গাড়িতে তারা হাত দিচ্ছে। এ নিয়ে একটি মামলা হয়েছে।’

সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ এনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন রাজারবাগ পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান। বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনে শাহবাগে অবরোধের সময় বেশ কয়েকজন পুলিশের জলকামান ও এপিসিতে (আর্মার্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার) ওঠে স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ দেখান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে কি না, ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা চলছে কি না এসব নিয়ে ডিবির টিম ও থানা পুলিশ কাজ করছে। কেউ যদি আন্দোলনের নামে সড়কে নেমে অবরোধ করে গাড়িতে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, তবে আমরা ধরে নিতে পারি অনুপ্রবেশকারীরাই এসব কাজ করছে।’

এদিকে জানা গেছে, শাহবাগ থানায় করা মামলায় সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামি করা হয়নি। আসামি হিসেবে ‘অজ্ঞাতপরিচয় অনেক’ উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। আর অভিযোগ হিসেবে মামলায় চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, পুলিশের জলকামান এবং এপিসি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ