শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সোচ্চার ও জোরালো ভূমিকা পালন করছে : রাষ্ট্রপতি
প্রকাশিতঃ 11:32 pm | May 28, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন। এ উপলক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের জানিয়েছেন বিনম্র শ্রদ্ধা।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সোচ্চার ও জোরালো ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, সাহসিকতা এবং অসামান্য অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানও নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।’
বুধবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। অর্পিত দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা সততা, কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
কালের আলো/ডিএস/এমএম