জাতীয়করণের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষক কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন

প্রকাশিতঃ 5:48 pm | April 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. কাওছার আলী শেখকে চূড়ান্ত বরখাস্তে অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

গত বছরের নভেম্বরে কাওছার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি বোর্ড সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী শেখের চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

গত ২১ এপ্রিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) কাওছার আলী শেখের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক আনীত অভিযোগ- সাহিদা পারভীনকে এমপিওভুক্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে দাবিকৃত ছয় লাখ টাকার মধ্যে সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ আত্মসাৎ; ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর সময় শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা নগদ আত্মসাৎ; ‘জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং’ ফার্মের অডিটে ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনে ব্যর্থ; আয়ের খাতে এক কোটি ৪২ লাখ সাত হাজার ৪৮৯ টাকা নগদ অসংগতি; ব্যয়ের খাতে এক কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা অসংগতি; ২০১৬ সালে জাল সনদ ও খাতা টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে নিজ আত্মীয় হোসেন শেখকে নিয়োগ দেওয়া; নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে অসহযোগিতা; বিদ্যালয়ে সময় না দিয়ে ব্যবসায় ও শিক্ষক রাজনীতিতে সরব অংশগ্রহণ; বিধিবহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদবি ব্যবহার; রেজুলেশন বহি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজ জিম্মায় রাখা।

চিঠিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির সভায় বাদী ও বিবাদী উভয়ের উপস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণপূর্বক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি প্রমাণিত হয় বিধায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।

গত ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৩০তম বোর্ড সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) মো. কাওছার আলী শেখের চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ম্যানেজিং কমিটি তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের আয়ের খাতের এক কোটি ৪২ লাখ সাত হাজার ৪৮৯ টাকা এবং ব্যয়ের খাতে এক কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি