কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার সেই চিকিৎসকের মৃত্যু
প্রকাশিতঃ 10:56 am | April 10, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
চট্টগ্রামে সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তার ছেলে আলী রেজা।
তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে আব্বার মৃত্যু হয়েছে।
নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) কিশোর গ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েছিলেন দাঁতের চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও হামলার শিকার হন কোরবান আলী। তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন আলী রেজা।
সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে রাখার প্রয়োজন হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় রোববার মামলা করা হয়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিন জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিলেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী।
হামলাকারীরা স্থানীয় যুবলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন আলী রেজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাংয়ের হামলা থেকে একজনকে বাঁচাতে চিকিৎসকের ছেলে রেজা ফোন করেছিলেন পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রেজার ওপর হামলা করে তারা। আর ছেলেকে হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন চিকিৎসক কোরবান আলী।
চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধর করছিল। তিনি ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই শিক্ষার্থী তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে একজনকে ধরে নিয়ে যায়।
সেদিন সন্ধ্যায় ইফতারি কিনতে বাসা থেকে বের হন আলী রেজা। তখন তাকে একা পেয়ে মারধর করতে থাকেন কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ছেলের ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বাবা।
একপর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ইট দিয়ে কোরবান আলীর মাথায় আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রথমে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কালের আলো/এমএইচইউআর