‘গুরুভক্ত’ কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক

প্রকাশিতঃ 10:11 am | January 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশের আধুনিক আধু‌নিক কৃ‌ষির জনক জাতীয় এমিরিটাস বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরু‌দ্দোজা। তিনি দেশের প্রথম কৃষিবীদ থেকে কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজাকের ‘গুরু’।

১৯৮০ সালে যখন তরুণ আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে যোগ দেন সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে তখন কাজী পেয়ারার আবিষ্কারক ড. কাজী এম বদরু‌দ্দোজা এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক। মূলত তাঁর হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট এসডিজি রোড ম্যাপ প্রণয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় একই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন এই গুরু-শিষ্য।

এদিন মঞ্চে মন্ত্রী আসন নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই উপস্থিত হন ড. কাজী এম বদরু‌দ্দোজা। ৯৪ বয়সী গুরুকে মঞ্চে তুলতে এগিয়ে আসেন কৃষিমন্ত্রী । অন্যদের সহযোগিতায় হাত ধরে চেয়ারে বসিয়ে দেন তাকে।

আরো পড়ুন:
পুরনো কর্মক্ষেত্রে স্মৃতিকাতর কৃষি মন্ত্রী

গুরুর প্রতি মন্ত্রী শিষ্যের এমন সম্মান প্রদর্শন মুগ্ধ করে উপস্থিত কৃষি বিজ্ঞানীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার শুরু হয়। সবাই এক বাক্যে বিনয়ী ও সজ্জন মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

পরে অনুষ্ঠানে ড. কাজী এম বদরু‌দ্দোজা বলেন, ‘যেই কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে আমরা বসে আছি ৪০ বছর আগে এখানে একটা অভিজাত হোটেল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কৃষির কল্যাণে এই জায়গাটাকে আমরা কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করি। ‘

টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ষীয়ান এই কৃষিবিদ বলেন, ‘আমাদের প্রায় দ্বিগুণ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এটা আমাদের জন্য খুব সহজ কাজ নয়। তবে শুধু উৎপাদন বাড়ালে হবে না। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে হবে ।‘

‘তুমি এখন কৃষিমন্ত্রী। তোমাকে আমার এভাবে নির্দেশ দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।’ বক্তব্যের সময়ই উচ্চারণ করেন কাজী এম বদরু‌দ্দোজা।

শ্রদ্ধাবনতচিত্তে গুরুর নির্দেশ গ্রহণ করেন বিনয়ী শিষ্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এমন নয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিষয়টিও আমরা দেখছি না। তবে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের কারণে মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী, ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাদের জনসংখ্যা বাড়বে, এরপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, যা প্রযুক্তি আছে তার সর্বোচ্চ উপযোগ নিতে হবে। ’

যদি খাদ্যঘাটতি পূরণ না করতে পারলে টেকসই লক্ষ্যমাত্রার অন্য সব অর্জন বৃথা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ