দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার ‘নতুন অস্ত্র’

প্রকাশিতঃ 8:44 pm | November 23, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সীমারেখা বরাবর নতুন সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ২০১৮ সালের চুক্তি থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরে দাঁড়ানোর পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।

গত মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম গোয়েন্দা উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এর সাহায্যে পিয়ংইয়ং প্রতিপক্ষের ওপর আরও ভালোভাবে নজরদারি করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গোয়েন্দা কার্যকম ও নজরদারি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি, আন্তঃকোরীয় সামরিক চুক্তি থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়িয়েছে সিউল।

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের ঝুঁকি প্রশমনের চেষ্টায় ২০১৮ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে দুই কোরিয়ার মধ্যে বাফার জোন প্রশস্ত করা হয়েছিল। এখন সেই এলাকাতেই নতুন অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

২০১৮ সালের ওই চুক্তিতে সই করেছিলেন তৎকালীন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চুক্তিপত্রে লেখা ছিল, কোরীয় উপদ্বীপে আর কোনো যুদ্ধ হবে না এবং এর মাধ্যমে শান্তির একটি নতুন যুগ শুরু হলো।

কিন্তু চুক্তি পরবর্তী আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কিন্তু তা না পাওয়ায় নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন তিনি।

উত্তর কোরিয়ার এমন পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জাপানও পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে উদ্যত হয় এবং একাধিকবার যৌথ সামরিক মহড়া চালায়।

বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনাবাহিনী সামরিক চুক্তির মাধ্যমে আর কখনো আবদ্ধ হবে না। এই অঞ্চলের সামরিক সীমারেখা বরাবর আরও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী নতুন ধরনের সরঞ্জাম মোতায়েন করা হবে।

পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, দুই কোরিয়ার মধ্যে যদি আবারও যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে তার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াই দায়ী থাকবে।

সূত্র: সিএনএন

কালের আলো/এসএমআর