বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে চান ডিএমপি কমিশনার, এখন থেকে অভিযানে থাকবে পুলিশ

প্রকাশিতঃ 4:37 pm | October 12, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

দীর্ঘদিন ধরেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিটি পণ্যের দাম। সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না দ্রব্যমূল্য। বেশ কিছু জরুরি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও পাইকারি খোলাবাজার এমনকি সুপার শপেও প্রকাশ্যেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজার অস্থিতিশীল করা সিন্ডিকেট ভাঙতে চান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

অসাধু সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধে পুলিশ বদ্ধপরিকর জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং কমিটির সঙ্গে পুলিশও যুক্ত থাকবে। ভোক্তা অধিদপ্তর ও জনগণের পাশে পুলিশ সব সময় থাকবে। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি করপোরেশনের অভিযানের সঙ্গে পুলিশও অংশ নেবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ সভায় এসব গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন ডিএমপি কমিশনার।

বাজার সিন্ডিকেটের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য ডিএমপি সক্ষম। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করব।’ ব্যবসায়ীরা রসিদ সংগ্রহ করেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, পণ্য কেনার সময় ব্যবসায়ীদের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। কারো রসিদ না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে কোনো সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে। ব্যবসায়ীদের যেমন রসিদ সংগ্রহ করতে হবে, তেমনি ভোক্তারা যদি চায় সে রসিদ দেখতে পারে। এভাবে একযোগে কাজ করে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সংকট তৈরি হয়। আগে দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক কাঁচা মাল আটকে থেকে পচে যেতো। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেখানে এখন আর কোনো মালামাল আটকে থাকছে না।’ নিত্যপণ্য আনার সময় চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আগে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা যেত। বর্তমানে রাস্তায় কোনো হয়রানি বা চাঁদাবাজি দেখা যায় না। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সভায় সবকিছুর আগে দালালি, চাঁদাবাজি বন্ধের পাশাপাশি জোগান ঠিক রাখার তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।

এই বিশেষ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, ডিবি প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/ওয়াইএ/এমকে