যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে নাই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 11:03 pm | October 08, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং তারা কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা তারা কেউ বলে নাই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং এর থেকে বেশি কিছু চায় না। তারা কেউ বলে নাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা। এই শব্দই কারও মুখ থেকে উচ্চারিত হয়নি। এছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের বিষয়টিও কেউ বলেনি।
রবিবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সফররত প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষণ দল মার্কিন এনডিআই ও আইআরআই-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় তো বেশি বাড়ায়ে বলে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। ওই দেশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মচারীর সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু দিন ধরে অনেক যোগাযোগ হচ্ছে। একজনও বলে নাই যে ঝড় আসছে। আপনারা (মিডিয়া) এগুলো বানান। আপনাদের মাথা-মগজের মধ্যে কিছু গণ্ডগোল আছে।
অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জন সিনেটর ও এমপি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে আমি টাকা দিয়ে কথা বলাতে পারি। আমি কাউকে টাকা দিলে সে আমার মতো করে গান গাইবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তিনবারের সিনেটর এবং সিনেটের একটি কমিটির চেয়ারম্যান টাকা খেয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করেছে। এগুলো দুনিয়াতে হয়। সিনেটর, কংগ্রেসম্যান বা এমপি হলেই টাকা খায় না, এর নিশ্চয়তা আমরা কেউ দিতে পারি না, যুক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) জানতে এসেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী করেছি। তাদের নিজেদের কোনও মতামত নেই। তারা শুধু জানতে চাইছেন—অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে। তারা আসার পরে একটি ব্রিফ দিয়েছি যে আমরা কী কাজ করছি।’
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা কোনও ধরনের পরামর্শ দেয়নি। এছাড়া আলোচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা ওঠেনি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা কী কাজ করেছি, তা নিয়ে একটি বই আছে। বইটি আমি তাদের দিয়েছি। তারা বললো, এটি দেখলে তোমাদের কেউ হারাতে পারবে না। তোমাদের সরকার যা করেছে, এই পারফরম্যান্স কেউ অতিক্রম করতে পারবে না।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা চাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন সংঘাতহীন হবে—এটির নিশ্চয়তা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।’ সংঘাতমুক্ত করতে সব দলের আন্তরিক ও ঐকান্তিক ইচ্ছা না থাকলে, এটি সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, অহিংস নির্বাচন সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়। এটি তাদের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করে। আমাদের এসব দেশে বেশ সংঘাত হয়।
কালের আলো/বিএস/এমএইচ