দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মনোনয়ন চায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
প্রকাশিতঃ 5:51 pm | February 06, 2018
পলিটিক্যাল এডিটর | কালের আলো :
চুয়াডাঙ্গা-১ (সদর ও আলমডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এবার বড় রকমের চমক অপেক্ষা করছে। আসনটিতে দলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বিপরীতে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত এফবিসিসিআই’র পরিচালক ও দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নে এ আসনে নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন মুখ পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দলটির বেশিরভাগ নেতা-কর্মীরা।
দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাষ্যে, দিলীপ এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে গোটা জেলার নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দল বাড়তি সুবিধা পাবে।
একই সঙ্গে এ আসনে নতুন প্রার্থী দিয়ে মনোনয়ন রাজনীতিতেও চমক সৃষ্টি করতে পারে দলটির হাইকমান্ড, এমন কথাই ভেসে বেড়াচ্ছে রাজনীতির অন্দরে-বাইরে।
কৃষি ও শিল্পনির্ভর এ এলাকার স্থানীয় জনসাধারণও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেশের ব্যবসায়ী জগতের এ সফল উদ্যোক্তার মাথায় মনোনয়নের মুকুট দেখতে চান। দলের প্রাথমিক একাধিক জরিপ ও স্থানীয় জনমতেও মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীদের ছাপিয়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির এ সাধারণ সম্পাদক।
চুয়াডাঙ্গা-১ (সদর ও আলমডাঙ্গা) আসনে ভোট রাজনীতির ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার বাদল রশিদ। এরপর দীর্ঘ সময় দলের কোন প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। সাতটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেশির ভাগেই বিএনপির প্রার্থী জিতেছেন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন জয়লাভ করেন। আবার ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় সোলায়মান হক পুনরায় সংসদ সদস্য হন। দলীয় টিকিটে ৫ বার ভোটে দাঁড়িয়ে তিনবার হেরেছেন আর দু’বার বিজয়মাল্য পড়েছেন সোলায়মান। এবার তাকে কেন্দ্র করে নিজ দলে তীব্র মতানৈক্য ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, এবার আসনটিতে নতুন মুখের সন্ধানে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল। ক্ষতাসীন দলের হ্যাট্টিক বিজয় নিশ্চিত করতে হাইকমান্ডের গুডবুকে রয়েছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় বিরামহীন জনসংযোগ করে যাচ্ছেন তিনি। নতুন প্রজন্মের ভোটারদের সঙ্গেও রয়েছে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ।
দলীয় নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে থাকায় বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এ বিশিষ্ট শিল্পপতির। দলীয় রাজনীতিতে অনৈক্য-কোন্দল দূরীভূত করতে নৌকার মনোনয়নে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এ প্রার্থীর বিকল্প নেই বলেও মনে করেন অনেকেই। এ আসনটিতে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে অনায়েসেই জয়ী হতে পারবেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ আসনে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শিরিন নাঈম পুনম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আবেদীন খোকন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু।
সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল বিএনপিতে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বিপরীতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সাবেক যুগ্ম সচিব ড. আবদুস সবুর, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা লে: কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান ও দলের জেলার নেতা শরিফুজ্জামান শরিফ।
কালের আলো/পিএ