শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি : মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশিতঃ 11:05 pm | May 16, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যেদিন ফিরে এসেছিলেন সেদিন প্রকৃতিও অঝর ধারায় কেদেছিল। সেদিন এয়ারপোর্টে লক্ষ লক্ষ জনতার মুখে স্লোগান ছিল ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে। শেখ হাসিনা এদেশের মাটিতে পদার্পণ করে বলেছিল আমার হারানোর কিছু নাই, পিতা-মাতা-ভাই, আত্মীয় হারিয়ে আমি বাংলার জনগণের কাছে ফিরে এসেছি। আপনারাই আমার আপনজন, আপনারাই আমার আত্মার আত্মীয়। আমরাই আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করবো। তিনি আরও বলেন, সেদিন ঝড়-বৃষ্টি শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি ঠিকই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন।

‘তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি মানুষের অধিকার ফিরে পেয়েছি। আজকে এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন হলে দাঁড়িয়ে বলতে পারি চিকিৎসা সুযোগ নয়, চিকিৎসা আমার অধিকার। এভাইে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ই মে) সকালে শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল (বিএসএমএমইউ) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা: মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা: মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ই মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হয়েছিল। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলো, তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এগুলোর কোন কিছু হতো না যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বদেশ প্রত্যার্তন না করতেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি এসেছিলেন বলেই এদেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সুপর স্পেশালাইজড হাসপাতাল হয়েছে। এদেশের কোন রোগী যেন বাহিরে না যায় সে জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন। দেশে ১১৩টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে, এখন দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করোনা মহামারিকে সফলতার সাথে মোকাবিলা করতে পেরেছি।

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশ কোন এগিয়ে গেল তার চারটি কারণ দেখিয়েছেন পাকিস্তানের সুশীল সমাজ। প্রথম কারণ বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, এখানে সাম্প্রদায়িতকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয় কিন্তু এদেশের মানুষ তা গ্রহণ করে না। দ্বিতীয় হলো নারীর ক্ষমতায়ন। তৃতীয় হলো অগণতান্ত্রিকভাবে এেেদশে কেউ আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না। চতুর্থ হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যিনি শুধু দেশের মানুষের অনুপ্রেরণা নয়, তিনি সারা বিশ্বের নেতাদের অনুপ্রেরণা। যার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশা পাাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও অধিক সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান মোস্তাক গং। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এদেশে কোন গণতন্ত্র ছিল না।

‘গণতন্ত্র ছিল খুনি জিয়ার সেনা ছাউনিতে বন্দি। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না, রাতের পর রাত কার্ফিউ জারি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সামরিক অফিসারদের মিথ্যা অজুহাতে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল খুনি জিয়া। খুনি জিয়া হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো।’

তিন বলেন, যখন গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত পথহীন উদ্দেশ্য বিহীন বাংলাদেশ, দেশের যুব সমাজ যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, খুনি জিয়া শাসনের নামে শোষণের মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদক, অস্ত্র দিয়ে, টাকা দিয়ে ধ্বংস করা শুরু করলেন, তখন জাতির সেই সংকটময় মুহূর্তে অন্ধকারে আলোক শিখা হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আমরা ফিরে পেয়েছি গণতন্ত্র।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মোঃ ফরিদ রায়হান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ছিলেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম

Print Friendly, PDF & Email