জেসমিনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:48 pm | March 29, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ড. মোমেনের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা চলাকালেই বাহিনীটির হেফাজতে সুলতানা জেসমিন মৃত্যু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না।

এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দুর্ঘটনা আমেরিকায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এ সপ্তাহে স্কুলে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। এ নিয়ে কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? এ ধরনের ঘটনা হঠাৎ করে হইতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনা জানলাম। সত্য-মিথ্যা জানি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও র‌্যাব বলতে পারবে।

এ সময় মানি লন্ডারিং নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ইনডিরেক্টলি মানি লন্ডারিংকে উৎসাহ দেয় বহু দেশ। মানি লন্ডারিং ঠেকানোর সবচেয়ে বড় বাধা বিদেশি সরকারগুলোর অসহযোগিতা। তারা কোনো তথ্য দিতে চায় না। কারণ এই টাকা সেখানে বিনিয়োগ হয়। বেসরকারি তথ্যের ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এগুলো দুদকের কাজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নকে টেকসই করতে সবার আগে প্রয়োজন শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। দেশে শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গর্ব করবে।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার উদ্বেগ রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইমেজ বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশেও গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা রয়েছে। গত নির্বাচনে (মার্কিন নির্বাচন) তাদের দেশের অন্য দল বিশ্বাসই করেনি, আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।

গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন তৈরি করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি।

কালের আলো/ডিএস/এমএম

Print Friendly, PDF & Email