সহায়ক নয়, নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:52 pm | January 31, 2018

স্টাফ রিপোর্টার | কালের আলো:

আগামী জাতীয় সয়সদ নির্বাচন নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের যে দাবি বিএনপি জানিয়ে আসছে, তা আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছিলাম।”

তিনি বলেন, “তার মানে, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে, সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে না।”

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের সময় গতবারের মতো ছোট সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিলে তা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় বিএনপি।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সহায়ক সরকারের প্রস্তাবও নাকচ করে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিতর্কিত করার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

তিনি বলেন, “২০০৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এসব ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিএনপি কোনোদিনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা (বিএনপি) অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সরকার গণতন্ত্রকে সবসময় সমুন্নত রাখবে। সেজন্য সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব না।”

আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করার পর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামে বিএনপি।

দাবি না মানায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার পর নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকারের দাবি তুলেছে তারা, তবে এর রূপরেখা এখনও তারা দেয়নি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে, তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস।”

জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ভোটারবিহীন গণভোট করেছিল বিএনপি। সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি জনাব আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান।”