সচিবের চোখেও ‘দু:সময়ের বন্ধু ফায়ার সার্ভিস’, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ডিজির

প্রকাশিতঃ 7:30 pm | November 17, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

দুর্ঘটনা দুর্যোগে সবার আগে সবার পাশে ফায়ার সার্ভিস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহ শক্তিতে বলীয়ান ফায়ার সার্ভিস যেকোন দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের বন্ধু হিসেবে প্রমাণ করেছে নিজেদের। দিন তিনেক আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন ‘দু:সময়ের বন্ধু ফায়ার সার্ভিস।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরীও বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত চলতি বছরের ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ’র পদক বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অভিন্ন কন্ঠে উচ্চারণ করেছেন ‘ফায়ার সার্ভিস এখন মানুষের দু:সময়ের বন্ধু।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ারফাইটারদের ‘দু:সময়ের বন্ধু’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। সকল দুর্যোগে ফায়ারফাইটাররা এখন আসলেই মানুষের দু:সময়ের বন্ধু। সাম্প্রতিক সময়ে সীতাকুন্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩ জন ফায়ারফাইটার নিহত হয়েছে। তারা ‘অগ্নিবীর’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।’

শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় সক্ষমতা বাড়িয়ে ফায়ার সার্ভিস যে জনমনে আস্থা কুড়িয়েছে, সেবা ত্যাগের মূলমন্ত্র নিয়ে নিজেদের জীবনবাজি রেখে অন্যের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় দিন-রাত একাকার করে নির্ভীক ফায়ার ফাইটাররা অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে অহর্নিশ সেই কথাও উচ্চারণ করলেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের আধুনিকায়নে মহাকর্মযজ্ঞের সূচনা করেছেন অধিদপ্তরের সকল সদস্যদের উৎসাহ ও মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে, নিজের অন্তরাত্মায় যেন এসব গাঁথা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যেও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মেনে চলার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন তিনি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ কাজই হলো জরুরি সেবাভিত্তিক। সেক্ষেত্রে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের কর্মীরা স্টেশন থেকে বের হন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহানারা খাতুন, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছালে একদল চৌকস অগ্নিসেনা সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অভিবাদন গ্রহণ করার পর প্রধান অতিথি রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এরপর তিনি ২০২২ সালে ৪টি ক্যাটাগরিতে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদকপ্রাপ্ত ৪৫ জনের মধ্যে ২৯ জনকে পদক পরিয়ে দেন।

প্রসঙ্গত, পদকপ্রাপ্ত অপর ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন কর্মকর্তা এবং ১৩ জন অগ্নিবীরের স্বজনদেরকে ১৫ নভেম্বর ফায়ার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি পদক প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান শেষে স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে প্রধান অতিথির হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

কালের আলো/এএএমকেএ

Print Friendly, PDF & Email