প্রশ্নফাঁস : বিমানের ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতার

প্রকাশিতঃ 1:09 pm | October 22, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ফাঁসকৃত প্রশ্নের সফট ও হার্ডকপি, মোবাইল ফোন, নগদ দেড় লাখ টাকা, ব্যাংকের চেক, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরিত দলিল, হিসাব-নিকাশের চারটি ডায়েরি এবং বিভিন্ন প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত করা হলো, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমটি অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), এমটি অপারেটর মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ভূঁইয়া (৩১), এমটি অপারেটর মো. এনামুল হক (২৭), অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন (২৯) এবং অফিস সহায়ক হারুনুর রশিদ (৪০)।

শনিবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশের নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়োগ কমিটিতে থাকা জিএম এবং ডিজিএম এর সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। কমিটি প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু তারা তা না করে এভাবে ঢালাওভাবে… অফিসে সহকারীরা প্রশ্নটা আউট করে দিলেন। সে কারণে আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশের এই পাঁচ আসামি আগেও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সাথে আর কারা জড়িত তাও খোঁজা হচ্ছে। এ নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তারা কত টাকার লেনদেন করেছে, এই টাকার ভাগ কার কার কাছে গেছে— সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। বিমান বাংলাদেশে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এর আগেও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। রিমান্ডে তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করে টাকা পয়সা নেওয়া এবং অনিয়মের বিষয় সম্পর্কে আমরা আরও জানতে পারবো। পরপর পাঁচটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা তাদের সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছি।

কালের আলো/এসবি/এমএম