বিএনপি’র সাংঘর্ষিক এবং না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:54 pm | September 13, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র সাংঘর্ষিক এবং না বলার রাজনীতির অবসান প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বিএনপি’র সবকিছুতেই না বলার যে রাজনীতি সেটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। যেখানে না বলা দরকার অবশ্যই সেখানে না বলবে। কিন্তু সবকিছুতেই না বলা আর সবসময় সাংঘর্ষিক রাজনীতি করা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে, যেটি বিএনপি করছে। আমি আশা করবো সাংঘর্ষিক রাজনীতি আর না বলার রাজনীতি থেকে বিএনপি নিজেকে মুক্ত করবে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। পরে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাহেব আজ বলেছেন যে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন। ক’দিন আগে উনিই বলেছিলেন, উনারা আন্দোলনে আছেন, আবার এখন বলছেন নামবেন -এখন কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে আমরা শুনছি উনারা আন্দোলনে নামবেন। আর উনাদের আন্দোলন মানে হচ্ছে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, গাড়িঘোড়া ভাংচুর করা, নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। এবার যদি এগুলো করা হয় তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলী এবং প্রেস কাউন্সিলের সদস্য এবং দৈনিক প্রভাত সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এবং সচিব মো: শাহ আলম, গণযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুর বারী মঞ্জু প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।

সংবাদপত্র পরিষদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাড়ে ১২শ’ পত্রিকা, অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এতো পত্রিকা নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব সেকারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কাগজে কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার। অনেক পত্রিকায় দেখা যায় যে, সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হয় কিন্তু তাদেরকে বেতন দেয়া হয় না, বলা হয় যে, তোমার বেতন তুমি সংগ্রহ করো।’

যে সমস্ত পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না সেগুলো আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করেছি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক এবং প্রকাশকদেরও দাবি ছিল, পত্রিকা প্রকাশে অনিয়মের জন্য যাতে গণমাধ্যমের বদনাম না হয়। সে প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই চারশ’র বেশি পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে, তারমধ্যে দুইশ’ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে, তবে কেউ যদি সংশোধন হতে চায় তাহলে সেই সুযোগ থাকবে।’

কালের আলো/এসবি/এমএম