খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে বাজারে চালের দাম নিম্নমুখী : খাদ্যমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 12:47 pm | September 06, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করার কারণে দেশের বাজারে এখন চালের দাম নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকায় ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশাকরি, কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রমসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।’
‘সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন ভারত থেকে চাল কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য এই মধ্যে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও দুই লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব আগামীকাল (বুধবার) ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে।’
ভিয়েতনাম থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৫২১ ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ ডলার করে পড়বে। প্রতি টন চাল ভারত থেকে ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার ব্যয়ে আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবে চাল আরও কিনবো। কারণ এবার প্রকৃতির অবস্থা খারাপ। আমনের ফলন কম হতে পারে। খরাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হলো এটা।’
সরকার ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ডের চাল বেশি দামে কিনছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের কাছে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। তারা সেভাবে সাড়া দেয়নি। আগে চুক্তির পরও চাল নেওয়া হয়নি বলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মতবিরোধ আছে। তারপরও তারা এগিয়ে এসেছে। আমরা থাইল্যান্ড থেকে চাল নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানের কারণে ভিয়েতনামের চালের দাম একটু বেশিই থাকে। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে যেখান থেকে পারব চাল আনতে হবে। টাকা দিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই।’
বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুত সর্বোচ্চ জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন বাজার দর নিম্নমুখী, চালের দাম কমেছে। মিলগেট থেকে শুরু করে পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। আমি মনেকরি, আমাদের শক্তিশালী মনিটরিং এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চলবে, আরও কয়েকদিন গেলে দাম আরও কমবে বলে আমার বিশ্বাস।’
এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/ডিএস/এমএম