২০২৩ সালের জুনে খুলবে বিআরটি, কাজ সম্পন্ন ৭৯.২৪ ভাগ

প্রকাশিতঃ 8:13 pm | August 26, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকার উত্তরা ও টঙ্গী এলাকার বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সাড়ে ২০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার ও রাস্তার ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ ৭৯.২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমডি শফিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জুনে চলাচলের জন্য এগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টায় প্রকল্প পরিদর্শন শেষে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ আরএসবি অংশের ১৬ কিলোমিটারের ৮২.৯ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে বিএ অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৭২.৩৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে মোট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৭৯.৯ শতাংশ। শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাবে। তাদের বাকি কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান। তবে এখন পর্যন্ত শতভাগ কাজ আমরা পাইনি। চাপ অব্যাহত রেখেছি। তাদের তিনটি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফান্ড ও লোকবলের ঘাটতি দূর করা এবং মেজর সেফটি শতভাগ নিশ্চিত করা। শর্তগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে শিগগিরই শর্ত পূরণের পর কাজ শুরু হবে। এসব শর্ত পূরণে চাপ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেজর কাজগুলো শেষ হবে। বাকি কাজ ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ওই বছরের জুন নাগাদ প্রকল্পটি চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করি।

উত্তরার জসীমউদ্দিনে গার্ডার দুর্ঘটনার বিষয়ে বিআরটির প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিচার হবে। তবে কনসালটেন্টেরও দায়িত্ব রয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

প্রকল্পের আওতায় রয়েছে- এয়ারপোর্ট উড়াল সেতু, জসীমউদ্দিন উড়াল সেতু, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গীতে উড়াল সেতু অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা স্টেশন ও উড়াল সেতু, বিআরটি ডিপো (নলজানি, গাজীপুর)।

প্রকল্প পরিদর্শন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এএম আমানুল্লাহ নুরী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), সেতু কর্তৃপক্ষ, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কালের আলো/ডিএস/এমএম

Print Friendly, PDF & Email