আশুরায় নাশকতার শঙ্কা নেই, থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিতঃ 5:53 pm | August 04, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পবিত্র আশুরায় শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো তথ্য না থাকলেও বিশেষ নিরাপত্তার বলয়ে করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আশুরায় নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য যেসব রাস্তা দিয়ে তাজিয়া মিছিল অতিক্রম করবে সেসব রাস্তা সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বলয়ে বেষ্টিত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে আয়োজক কমিটির সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদা বৈঠক করেছি। যেসব স্থানে আশুরা পালন করা হয় তার আশপাশে চেকপোস্ট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। থাকবে গোয়েন্দা তৎপরতাও। এছাড়া যেসব স্থানে তাজিয়া মিছিল বের হবে সেখানে ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিট থাকবে। যেসব রাস্তা দিয়ে মিছিল হবে সেসব রাস্তা নিরাপত্তা চাদরে ডাকা থাকবে।

তিনি বলেন, হোসেনি দালানের আশপাশের এলাকার ছাত্রাবাস ও মেসগুলো আশুরার সময় নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেগুলোতে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হবে। গুজব এড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি বাড়ানো করা হবে। কেউ উল্টা-পাল্টা কোনো বিভ্রান্তি ছড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, লক্ষাধিক মানুষ তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এজন্য কিছু কিছু রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। আশা করি সবাই এটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনা টাঙ্গাইলে ঘটলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ তৎপর রয়েছে। বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা রোধে প্যানিক বাটন বসানোর কথা থাকলেও ঢাকার কিছু কিছু বাসে তা বসানো হয়েছে। এর পেছনে যে খরচ তা বহনে বাস মালিকরা রাজি না হওয়ায় সব বাসে বসানো সম্ভব হয়নি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে সমস্ত এলাকায় নারী শ্রমিকরা বেশি কাজ করে সে সমস্ত এলাকার বাসের চালক-হেলপারের ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত ও বাসের নম্বর লিখে রাখলে আপরাধীদের ধরতে সহজ হবে।

যে কোনও ডাকাতির ঘটনাকে পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলে একটি নেককারজনক ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইল পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ এই ডাকাতদের গ্রেফতারে কাজ করছে। আমাদের মহানগরের ভেতরেও এ ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে থাকে। আপনারা জানেন, মহাসড়কে এবং ঢাকায় বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। সেগুলো থামিয়ে চেক করা অথবা কোনও গাড়িতে যাত্রী আছে কিনা চেক করা অসম্ভব ব্যাপার।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় কিংবা যে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হওয়া প্যানিক বাটনের সবশেষ অবস্থা কী পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত হাইওয়ের বাসগুলোতে আগে বেশ ডাকাতি হতো। তখন ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য স্টার্টিং পয়েন্টে যাত্রীদের ভিডিও ও ছবি তুলে রাখার একটা ব্যবস্থা ছিল। সেটি এখনও অনেক জায়গায় কাজ করছে। কিছু এলাকায় যেমন- আশুলিয়া, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব এলাকায় আমাদের অনেক নারী শ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করেন। অনেক রাতে তাদের যাতায়াত করতে হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। তা বিবেচনা করে আমরা পেনিক বাটনের ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় অনেক বাসে প্যানিক বাটন দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email