মৎস্য খাতের টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে হবে : মৎস্য সচিব

প্রকাশিতঃ 10:23 pm | July 29, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেছেন, মৎস্য খাতের টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মাছের প্রকৃত মজুদ নির্ণয়ের বিষয়ে আরও আজ করতে হবে। সামুদ্রিক মাছের মজুদ কতটুকু আছে সেটি জানতে হবে। সামুদ্রিক মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করবে। মাছের সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী আরও বলেন, মৎস্য চাষ ও মৎস্যসম্পদের মানোন্নয়ন সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। মাছ আমাদের নিরাপদ আমিষ। মৎস্য চাষের মাধ্যমে এ আমিষের যোগানের ক্ষেত্রে মৎস্য খাত সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ও রপ্তানির ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন মাছ নিশ্চিত করা জরুরি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের নির্ধারিত মান অর্জন করা সম্ভব না হলে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যাবে না। এজন্য বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী মাছের মান অর্জনে আরও কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. আব্দুল কাইয়ূম ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. খালেদ কনক।

অনুষ্ঠানে ২৪ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫ টি ক্যাটাগরিতে ১১টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।

এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান,বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং কাঁচা মাছ বিক্রয় ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

কালের আলো/ডিএস/এমএম