২০১৪ সালে সাড়ে ২২ লাখ লোক বস্তিতে ছিল, এবার ১৮ লাখ : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:49 pm | July 27, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশে দারিদ্রতা কমছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ২০১৪ সালে সাড়ে ২২ লাখ লোক বস্তিতে ছিল , এবার পেয়েছি ১৮ লাখ।

বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ -এর প্রাথমিক তথ্য প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এম এ মান্নান বলেন, আমরা খুবই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বন্যার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। ল্যানসেটের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার গতিবিধি পরিষ্কার বলা আছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত আমাদের জনসংখ্যা বাড়বে, ২১ শতকে গিয়ে আমাদের ১৬ কোটি জনসংখ্যা অর্ধেকে দাঁড়াবে। এটা আমাদের গণনা নয়, বিশ্বখ্যাত পণ্ডিতদের গণনা।

তিনি বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে আমরা যে অষ্টম স্থানে ছিলাম সেখানে থাকবো না। আমরা ২১তম স্থানে চলে যাবো। কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা ভয়ঙ্করভাবে বাড়বে। জনমিতির যে সুবাতাস বইছে এটার সুবিধা আমরা পাচ্ছি। সেটা ২০৪৫ এর দিকে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। ২১ শতকে গিয়ে নির্ভরশীলতার সংখ্যা কমে যাবে। এটা জাপান ছাড়াও অন্যান্য উন্নত দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভাসমান জনগোষ্ঠী যখন শুনলাম ২২ হাজার আমি বিশ্বাস করিনি। আমি যখনই কোথাও যাই দেখি শুয়ে আছে বসে আছে কোন না কোন জায়গায়। তখন আমাকে ব্যাখ্যা দিলেন কর্মকর্তারা। যে আসলে যাদের ভাসমান মনে করছি এরা আসলে ভাসমান নয়। ওই ব্যক্তি ভাসমান যার ঠিকানা নেই কোথাও। কমলাপুর স্টেশন, ফার্মগেট কিংবা কাওরানবাজারে যারা আছে তারা সন্ধ্যায় হলে কারো না কারো বারান্দা হলেও থাকে। সুতরাং এই ব্যাখ্যা জানার পর এই ২২ হাজার আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনশুমারি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে করা হয়েছে। তবু, আমাদের ভুল থাকতেই পারে। আপনারা সেটি দেখিয়ে দিন। আমরা সংশোধন করব।

তিনি বলেন, জনশুমারি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। এসব তথ্যের অনেক কমার্শিয়াল ভ্যালু আছে।

জনশুমারির তথ্যের প্রকৃতি নিয়ে তিনি বলেন, এবারের ডিজিটাল জনশুমারিতে ৪ লাখ অত্যাধুনিক ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কমপক্ষে এইচএসসি পাশ, এমন কর্মীদের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখান থেকে মাত্র ৬৪টি ট্যাব নষ্ট হয়েছে বা ফেরত আসে নি। এটি একটি ম্যাজিক ফিগার।

এম এ মান্নান বলেন, আমার অফিসারদের আমি বলেছি, ১ মাসের মধ্যেই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। তারা ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছি ‘লেট আস ট্রাই’।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email