পদ্মা সেতু নির্মাণ বাঙালির আত্মমর্যাদার এক অনন্য সোপান : স্পিকার

প্রকাশিতঃ 8:27 pm | July 26, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদার এক অনন্য সোপান। পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বাঙালির আত্ম অহংকারের জায়গায় পদ্মা সেতু একটি মাইলফলক।

তিনি বলেন, সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, বিশ্বব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ উপেক্ষা করে, সকল প্রতিকূলতা ও বাঁধা-বিপত্তি জয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর অদম্য সাহস, দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ও চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এসব কথা বলেন।

এ সময় স্পিকার ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করে বলেন, লিখিত আকারে পদ্মা সেতু নিয়ে দ্রুততম সময়ে ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটির প্রকাশ প্রশংসার দাবি রাখে। এতে ৬৫টি প্রবন্ধ রয়েছে, বইটিকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি, অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন। তার মূল শক্তির উৎস দেশের জনগন। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন দেশে বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য এই সেতু অর্থনৈতিক লাইফলাইন। সাউথ এশিয়ান কানেক্টিভিটি, শিল্পায়ন, কৃষির অগ্রগতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই পদ্মা সেতুর অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সাধারণ মানুষ এ সেতুর দ্বারা সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে পদ্মা সেতু কেবল ইট-পাথরের সেতু নয়, কোটি কোটি বাঙালির আবেগ ও গৌরব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম

Print Friendly, PDF & Email