ঢাকার চারপাশে সুবিধাজনক স্থানে হবে পাইকারি কাঁচাবাজার : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 5:02 pm | July 20, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা শাক-সবজি ও মাছসহ অন্যান্য পণ্য নগরবাসীর নিকট সাশ্রয়ী মূ্ল্যে পৌঁছে দিতে ঢাকার চারপাশে সুবিধাজনক স্থানে পাইকারি কাঁচাবাজার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় এনে যথাযথভাবে যাতে উৎপাদকরা বিক্রি করে লাভবান হন এবং নগরে বসবাসকারীরাও যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়াই আমাদের লক্ষ্য। পাইকারি কাঁচাবাজরগুলোকে আমরা এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যাতে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি ঢাকার প্রবেশমুখে রেখে পণ্য খালাস করা যায়।
‘এসব বিষয় পর্যালোচনার জন্য ঢাকা সিটির মেয়রসহ সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কোথায় কোথায় এরকম পাইকারি বিক্রির ব্যবস্থা করা যায় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
পণ্যের গুণগত মান যাতে নস্ট না হয়, পরিবেশগত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও যাতে সমস্যা দেখা না দেয় সে ব্যাপারেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বুধবার (২০ জুলাই) সকালে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে সাথে নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজার আড়ৎ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলো একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। কাঁচা বাজারগুলোকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যাতে দেশের যে অঞ্চল থেকেই পণ্য আসুক না কেন তা নির্ধারিত পাইকারি বাজার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে সরবরাহ করা যায় এবং মানুষ সাশ্রীয় দামে এসব পণ্য কিনতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত বিশাল অঞ্চল ঢাকার সাথে যুক্ত হওয়ায় সেখানে এখন শাক-সবজি, মাছসহ অনেক পণ্য সহজে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হবে। যার ফলে কৃষকরা প্রকৃতি মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও হাতের কাছে পণ্য পাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেখেছি আগে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাত করতে না পারায় ফসল উৎপাদনে নিরুৎসাহিত ছিলো। এখন যেহেতু ঢাকায় আনা যাবে এবং ক্রেতাও পাওয়া যাবে সে কারণে সেখানে উৎসাহ উদ্দীপনা আরম্ভ হয়েছে এবং অনেক ফসলাদি উৎপাদন শুরু হয়েছে।
পরিদর্শনকালে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসবি/এএম