ঈদে বিত্তবানদের নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিতঃ 1:11 pm | July 09, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

করোনাভাইরাসের অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার এই সময়ে নিম্নআয়ের মানুষ যেন ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।

রোববার (১০ জুলাই) ঈদুল আজহা উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। তারাও যাতে ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত না হয় এবং ঈদোৎসবে শামিল হতে পারে সেলক্ষ্যে আমি দেশের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য’ বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

গত দুই বছর বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব করোনা মহামারির মধ্যেই ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’

কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন থাকা আবশ্যক বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।

তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সবাই সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।’

কালের আলো/বিএসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email