মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী : আইজিপি

প্রকাশিতঃ 10:02 pm | June 21, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ প্রত্যয় বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে ৫২০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ৪০০ গৃহ ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১২০টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সকল বাড়ি পেয়ে গৃহহীন মানুষের জীবন-জীবিকায় দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটেছে।

আইজিপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত উদ্যোগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দিক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল করোনা অতিমারিকালে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে স্থাপিত ‘পদ্মা সেতু ‘উত্তর’ এবং ‘দক্ষিণ’ থানাসহ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে স্থাপিত নতুন দুই থানা, গৃহহীন, ভূমিহীন অসহায় মানুষের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, নব নির্মিত ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৬টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্ত ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুর নিরাপত্তাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা,  ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সকল আইনগত সেবা প্রদানের জন্য মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু উত্তর থানা এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে সংযোজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। এ পরিবর্তনের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাবে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ জনগণকে এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ৬৪টি জেলায় নারী পুলিশ সদস্যের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০২০ সালের মধ্যে ২২টি জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ব্যারাক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর আরও ছয়টি ইউনিটে ব্যারাক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আইজিপি বলেন, জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে অনলাইন জিডি চালু হতে যাচ্ছে। ফলে ঘরে বসেই নাগরিকগণ অনলাইনে জিডি করতে পারবেন। তিনি বলেন জনগণের বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত ‘জনগণের পুলিশ’ হয়ে তাঁর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশ।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব  মো. আখতার হোসেন বক্তৃতা করেন। 

কালের আলো/এসবি/এমএম