যুবলীগের দখলে রাজপথ
প্রকাশিতঃ 11:33 pm | May 17, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
৪১ বছর আগে ঠিক এই দিনটিতে ৬ বছর পর নিজ মাতৃভূমিতে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিরেছিলেন এক রাতে সব হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে। এরপর ৪১ বছরের অবিরাম পথচলা।
বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এই ঐতিহাসিক দিনটিতে বিশাল আনন্দ র্যালীর মাধ্যমে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে যুবলীগ জানান দিয়েছে, শেখ হাসিনার চলার পথ মসৃণ করতে কোন অপশক্তিকে সমূলে মূলোৎপাটনে যুবলীগই যথেষ্ট। আমাদের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো নিউজে বিস্তারিত।
ময়মনসিংহ
আনন্দঘন এই দিনটিতে ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য র্যালী করেছে মহানগর যুবলীগ। ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনূর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালিটি নগরীর রেলওয়ে চত্বর থেকে বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে নতুন বাজার ট্রাফিক মোড় এসে শেষ হয়।
ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের এই র্যালী কার্যত পরিণত হয় বিশাল শোডাউনে। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সংগঠনটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ঢেউ জানান দিয়েছে শিক্ষা নগরীর মাটি মহানগর যুবলীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি।
বিশাল র্যালী শেষে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনূর রহমান সভাপতির বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। তিনি বাংলার মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ অদম্য। উন্নয়নের রোল মডেল। দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন মুজিবকন্যা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজল শামস পরশের নির্দেশে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে রয়েছে। সব অপশক্তিতে প্রতিহত করতে যুবলীগ প্রস্তুত রয়েছে।
মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশে সংঘটিত হয়েছে উন্নয়ন বিপ্লব। যুবলীগ এই উন্নয়নের শক্তিতে ময়মনসিংহে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে রাজপথে থেকেই মোকাবেলা করবে।

চট্টগ্রাম
দিবসটি উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য চট্টগ্রামে র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকালে নগরের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বর থেকে যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু’র উদ্যোগে এ আনন্দ র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি পুরাতন রেল স্টেশন থেকে শুরু হয়ে নতুন ষ্টেশন, নিউ মার্কেট, জিপিও মোড় হয়ে কোতোয়ালি থানার সামনে হয়ে শহীদ কামাল উদ্দিন চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দর আজম, বন্দর সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, মহানগর যুবলীগ নেতা আনিফুর রহমান লিটু, মো. ওসমান, রঞ্জিত কুমার শীল, নুরুন্নবী পারভেজ, জামিল আহমেদ মিলন, এফএইচ চৌধুরী বাদল, আখতারুজ্জামান ময়না, সাইফুর রহমান সোহেল, এস এম আতিকুর রহমান আতিক, লোকমান, মো. ইসমাইল, মারুফ আহমেদ সিদ্দিক, ইমতিয়াজ আহমেদ বাবলা, ইকবাল হোসেন, জাহিদ হোসেন খোকন, সালাউদ্দিন বাবর, ইমতিয়াজ আহমেদ সুমন, সাজ্জাদ আলী জুয়েল, কাজী আরিফ, সরওয়ার হোসেন, ফরহাদ আবদুল্লাহ, এমরান হোসাইন প্রমুখ।

সিলেট
এদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকাল ৩টার দিকে র্যালীটি জেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়। র্যালীতে সিলেট জেলা যুবলীগসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত দীর্ঘায়িত র্যালীতে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ।
র্যালীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাহেদ গাজী ও নুরুল ইসলাম নুর মিয়া।
র্যালী শেষে বক্তব্য প্রদানকালে সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি বলেন, বাঙালির জাতির স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অগ্রসৈনিক। আর বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নের নায়ক হলেন জাতির জনকের কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে বাঙালি জাতি নতুন করে স্বপ্ন দেখতো না।
তিনি বলেন, এখন যারা ভাবছেন- দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। তারাই অনেক আগে দেশকে শ্রীলঙ্কা বানিয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশে এসে তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে দেশ আজও পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্র থাকতো। দেশের কোন উন্নয়ন হতো না। শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নই থাকতো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই আজ বাঙালি জাতি গর্ব করে বলতে পারে আমরা বাংলাদেশী। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে, বিশ্বের কাছে দেশ ও দেশের মানুষের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখতে গিয়েছে, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শিখেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ও বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন।
কালের আলো/বিএস/এমএম