রফতানি আয়ে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

প্রকাশিতঃ 10:04 am | May 10, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

করোনা মহামারির ভয়াবহ অবস্থা থেকে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন আগের অবস্থায় ফেরায় গার্মেন্টস পণ্যের রফতানি বেড়েছে। সার্বিকভাবে গত এপ্রিলে দেশে রফতানি আয় ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

সোমবার (৯ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে জুলাই থেকে এপ্রিল, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে যেভাবে পণ্য রফতানি হচ্ছে, আগামী দুই মাসে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এই অর্থবছরে রফতানি ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো অর্থবছরে ৫ হাজার ডলারের বেশি পণ্য রফতানির রেকর্ড স্পর্শ করতে পারবে বাংলাদেশ।

ইপিবি’র তথ্য আরও বলছে, এপ্রিলে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। এর বিপরীতে এপ্রিল মাসে রফতানি হয়েছে ৪৭৪ কোটি ডলারের পণ্য। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি পণ্য রফতানি হয়েছে এই মাসে। গত বছরের এপ্রিলের সঙ্গে তুলনা করলে অবশ্য এ বছরের এপ্রিলে রফতানি বেড়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ।

এদিকে, ১০ মাসের সার্বিক হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি বেশি হয়েছে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর আগে কোনো অর্থবছরেই আগের অর্থবছরের তুলনায় এত বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি রফতানিতে।

ইপিবি’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বরাবরের মতোই রফতানি খাতে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত। এ অর্থবছরের ১০ মাসে যে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, তার মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই এসেছে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ তৈরি পোশাক খাতের রফতানি মোট রফতানির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই রফতানি আবার এ বছরের প্রথম ১০ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।

এছাড়া এই ১০ মাসে হিমায়িত ও তাজা মাছ রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কৃষি খাতে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্যে ২৪ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, রাবার জাতীয় পণ্যে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, হস্তশিল্প পণ্যে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি পণ্য রফতানি হয়েছে।

কালের আলো/বিএস/এমএম