প্রধানমন্ত্রী’র সাক্ষাত চান এরশাদ

প্রকাশিতঃ 8:10 pm | November 17, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

শনিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিকাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় গণভবনে এ চিঠি পৌঁছে দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিঠিটি গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভরায় বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আসন বণ্টনের জন্য আমাদের দলের চেয়ারম্যান মহাজোট নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। সন্ধ্যায় আমি চিঠিটি গণভবনে পৌঁছে দিয়েছি।’

‘আমাদের দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার পর্বের পর হয়তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপা চেয়ারম্যানের বৈঠক হতে পারে।’

এরশাদ অবশ্য এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আছেন। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগেও তাকে সেখানে ভর্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনের আগেই গাঁটছাড়া বাধে সালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। তবে বিএনপি জামায়াত জোট ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় তখন আর জোটের প্রয়োজন পড়েনি আওয়ামী লীগে।

এবারও বিএনপি ভোটে না এলে দুই পক্ষ আলাদা নির্বাচন করবে বলে সিদ্ধান্ত ছিল। তবে গত ১১ নভেম্বর বিএনপির নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং পুরনো জোট ২০ দল ভোটে আসার ঘোষণা দেয়। এই দুটি দলও সমন্বয়ন করে ভোটে দাঁড়াবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের তথ্য অনুযায়ী তারা আওয়ামী লীগের কাছে ৭৬টি আসনের তালিকা দিয়েছেন।

দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩৪টি আসনে জেতে। তবে এবার তার কিছু আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী দিতে স্থানীয় পর্যায়ে চাপ আছে। অবশ্য এর বাইরেও আরও কিছু আসতে ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৮ সালে জোটবদ্ধ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মোট ৪৯ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। যদিও জোট থেকে সমর্থন দেয়া হয়েছিল ৩৫টির মতো আসনে।

কালের আলো/এনএম