তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই: সিইসি
প্রকাশিতঃ 12:39 pm | November 06, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই তবে সব রাজনৈতিক দল একমত হলে সেক্ষেত্রে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের তারিখ পেছানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি ।
তিনি বলেন, এ খন পর্যন্ত তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই তবে বুধবারের পর বিষয়টি আমরা আমলে নেব।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন করতে হবে। তবে তফসিল ঘোষণার ক্ষেত্রে ৭ নভেম্বরের সংলাপের ফলাফলও প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রোগ্রাম রয়েছে।
‘বিশ্ব ইজতেমা রয়েছে জানুয়ারি মাসে– ১৫ থেকে ২৬ তারিখ দুই দফায় ইজতেমা হবে। তখন সেখানে সারা দেশ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে নিয়োগ করতে হয়। তাই এর মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।’
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিইসি উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ভোটারদের ভোটের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য ইভিএমের বিকল্প নেই। ব্যালটে পেপারে নানা অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো এড়িয়ে চলার জন্য ইভিএম চালু করা হবে। ইভিএমে ভোট কারচুপি করার সুযোগ নেই ৷
সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে আগে আইনি জটিলতা ছিল সেগুলো এখন কাটিয়ে উঠেছি। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে ইভিএম কমিটি করা হয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিকভাবে শহর অঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তবে ৫ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, তফসিল স্থগিত রাখার কিংবা সংলাপের ফলাফল জেনে তফসিল ঘোষণা করার।
আগামীকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবার সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তফসিল দিয়ে ৪৫ দিনের কাছাকাছি অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর কাছাকাছি দিনে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুয়ায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।
কালের আলো/এনএম