ঠাঁই ছিলো না তিল ধারণের, শোডাউনের হিড়িক নেতাদের

প্রকাশিতঃ 1:22 am | November 03, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দলে দলে মিছিল, ব্যানার, বাদ্য বাজনা আর ফেস্টুন আর দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে খরতাপ উপেক্ষা করে বাস, ট্রেন, ট্রাক, পিকআপ চেপে এসেছিলেন অগণিত মানুষ।

শুক্রবার (০২ নভেম্বর) সবার ঠিকানা ছিলো ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দান।

এই জনসভায় শোডাউনে বরাবরের মতো এবারো তাক লাগিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক ও পৌরসভার বিদায়ী মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের একীভূত করে তিনি বিশাল শোডাউন করেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণাতেও তিনি ছিলেন শীর্ষে।

হাসিমুখে তাঁর চাবি উপহার রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা গ্রহণ করায় টিটু’র অনুসারী হাজার হাজার নেতা-কর্মীরাও উদ্দীপ্ত। সব সময় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহসিক্ত ‘মেয়র টিটু’ দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে নিজের অব্যাহত প্রয়াসের জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন।

এই জনসভায় রেকর্ড সৃষ্টি গড়েছেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলও। তাঁর বক্তব্যের সময়েই গফরগাঁওয়ের নেতা-কর্মীদের স্রোত মাঠের দিকে প্রবেশ করতে থাকে। এই সময় ‘বাবেল ভাই, বাবেল ভাই’ স্লোগান উচ্চারিত হয়। অনেকেই বলছেন, প্রয়াত বাবা আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এই জনসভাতেই সবার দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চের ঠিক সামনেই ব্যানার-ফেস্টুন হাতে দেখা যায় ত্রিশাল পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য এ.বি.এম.আনিসুজ্জামানের সমর্থক নেতা-কর্মীদের। ওই উপজেলা থেকে সর্বোচ্চ শোডাউন নিয়ে জনসভায় যোগ দেন মেয়র আনিস।

স্থানীয়দের মতে, অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকেও তিনি ছিলেন এগিয়ে। এছাড়া ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান, শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফও শোডাউন করেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো: ইকরামুল হক টিটু’র পক্ষে।

কালের আলো/ওএইচ