নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে সেনা সদস্যদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিতঃ 10:28 am | December 03, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়অ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিনি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সূচনালগ্ন হতেই দেশ সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করে।

‘নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী এ সংগ্রামে এ বাহিনীর ১ হাজার ৫শ’ ৩৩ জন অকুতোভয় বীর সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া বিশ্বশান্তি রক্ষায় এ বাহিনীর ১২৫ জন বীর সদস্য শহিদ হন।’

আজকের এই দিনে তিনি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি গত পাঁচ দশকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। যে কোনো জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সেনাবাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশসেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৭ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেশের জন্য অভূতপূর্ব সুনাম বয়ে এনেছে। দেশ ও মানবতার সেবায় সেনাবাহিনীর অবদানের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকান্ডে গতি সঞ্চার করেছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন।

-বাসস

Print Friendly, PDF & Email