ওমিক্রন রোধে করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে ১৮ মন্ত্রণালয়

প্রকাশিতঃ 2:27 pm | November 30, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ রোধে করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেছে ১৮ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা শুরু হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন তিনি।

এদিকে করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে সাউথ আফ্রিকাসহ আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে দেশের আকাশপথ, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে কঠোর সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রণয়ন ও তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শুরু হয়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে আলাদা স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার কথাও বলা হয়েছে।

সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরও ১১টি দেশ বা অঞ্চল।

দেশগুলো হলো—দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল। এ সমস্ত দেশ থেকে যেসব যাত্রীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসবেন তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার কোভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বৈঠক করেছে। কমিটির সদস্যরা চারটি সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে—যেসব দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখান থেকে যাত্রী আসা বন্ধ করতে হবে; কোনো ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (শেষ ১৪ দিন) ইতিহাস থাকলে তাকে বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে; করোনা শনাক্ত হলে আইসোলেশনে যেতে হবে।

এছাড়াও প্রতিটি বন্দর ও সীমান্তে স্ক্রিনিং পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল, কলেজসহ), চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করা, বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করা এবং মানুষকে উৎসাহিত করতে করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার সুপারিশ করা হয়।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল