খালে ময়লা ফেললেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা : মেয়র আতিক
প্রকাশিতঃ 9:23 pm | October 23, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদেরকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগান বাস্তবায়ন এবং রামচন্দ্রপুর খালের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, খালটির দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি ভবন পরিদর্শনকালে সেগুলোর কোনোটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
‘খাল কোনও ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থানও নয়, এটি জলাধার। তাই কোনও সচেতন নাগরিক খাল কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারে না।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকেও বিল্ডিং ডেভেলপ করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আতিক বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ডিএনসিসি এলাকার খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হবে। অবৈধভাবে খাল দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। বিনা নোটিশেই অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই মোহাম্মদপুর এলাকায় মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত নকশাবহির্ভূত ভবনের অংশবিশেষ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এসএম শরীফ উল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এসবি/এমএইচএ