বাংলাদেশে স্মার্টজুতা তৈরিতে কাজ করছে শাওমি

প্রকাশিতঃ 9:18 pm | October 22, 2021

টেক ডেস্ক, কালের আলো:

বাংলাদেশে বিভিন্ন স্মার্ট লাইফস্টাইল পণ্য তৈরি করে তা রপ্তানি করতে চায় শাওমি।এরমধ্যে এখানে স্মার্টজুতা তৈরিতে কোম্পানি কাজ করছে বলে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে দেশে শাওমির স্মার্টফোন কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় তারা।অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি ভিডিওতে বক্তব্যে দিয়েছেন। সরাসরি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে এখন ১৪টি মোবাইল ফ্যাক্টরি থেকে উৎপাদিত মোবাইল সেট দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬৫ ভাগের বেশি পুরণ করছে। চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগ স্মার্টফোন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ।

বাংলাদেশের কারখানা থেকে উৎপাদিত ৫জি মোবাইল সেট আমেরিকায় যাচ্ছে। সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে।সৌদি আরব ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হচ্ছে। অথচ এক সময় কাপড় কাঁচার সাবান থেকে প্রায় প্রতিটি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আজকের এই পরিবর্তন ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিরই ফসল।

সালমান রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মের সব কোম্পানি ও উদ্যোক্তাই হচ্ছে বাংলাদেশের একেকটা সফলতা। দেশে শাওমির কারখানার মাধ্যমে দেশের তরুণদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক মানের ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৪ সালে স্যামসাং বাংলাদেশে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। তবে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অসহযোগিতা ও অনৈতিক প্রস্তাবের কারণে তারা বিনিয়োগটি সরিয়ে নেয়। ২০০৭ সালে স্যামসাং সেই বিনিয়োগ করে ভিয়েতনামে।

২০২৯ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামে স্যামসাংয়ের কারখানায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের কারখানা থেকে রপ্তানির পরিমাণ ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। স্যামসাংয়ের বিনিয়োগটি সে সময়ে এলে আজকে বাংলাদেশের চেহারা অন্য রকম হতে পারত ।‘

২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্মার্টফোনের ৯৪টি খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ১৫৪টি খুচরা যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ। এ কারণেই দেশে একের পর এক স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা হচ্ছে।’ উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ভারত, চীন ও ভিয়েতনামে উৎপাদিত স্মার্টফোনের মতো মানসম্পন্ন স্মার্টফোন তৈরি হবে।এ সময় বাংলাদেশ হতে লাইফস্টাইল পণ্য, বিশেষ করে স্মার্ট জুতারপ্তানির হাব করতে কাজ করার কথা জানান তিনি।দেশে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগে স্মার্টফোন কারখানা করেছে শাওমি।

বাংলাদেশে ডিবিজি টেকনোলজি লিমিটেড শাওমির এই কারখানা করেছে। গাজীপুরের ভোগড়ায় শাওমির এই কারখানা।বিটিআরসি হতে ’এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেয়েছে শাওমি। শাওমি দেশে সেমি নক ডাউন (এসকেডি) বা হ্যান্ডসেটের যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করে স্মার্টফোন তৈরি করছে।অনুষ্ঠানে শাওমি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই কারখানায় দেশের ১ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে।

-টেকশহর

Print Friendly, PDF & Email