ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে এক চুলও নড়ব না : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:50 pm | October 07, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বাস্তবায়নে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখান থেকে এক চুলও নড়বে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ক্লিনফিড বাস্তবায়ন সহজ কাজ ছিল না। ১৫ বছরে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এরআগেও একবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নানা অজুহাতে সেটি করা সম্ভব হয়নি। এবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগে ভাগে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে এবং যে সমস্ত জায়গা থেকে কথা উঠতে পারে তাদের জানিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। সুতরাং এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না।

বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য সম্প্রচার, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি।

তিনি বলেন, আপনাদের যে প্রস্তাব সেটার জন্য ধন্যবাদ জানাই। অন্তত প্রথমে ৫০টি পত্রিকা সম্ভব হলে ১০০টি পত্রিকার ক্ষেত্রে রিয়েলিস্টক যে সার্কুলেশন সেটার ভিত্তিতে ক্রম করা। আমি মনে করি এটা অনেক ভালো প্রস্তাব, আমি এটা করতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং এর জন্য বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না এটি কিছুটা জানতাম। তবে এত ভয়াবহ চিত্র সেটা জানা ছিল না। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। ই- টেন্ডারিং হলেও যেন বিজ্ঞাপন যায়। আর আপনারা যে বকেয়ার কথা বলেছেন সেটা আমি জানি। অনেক পত্রিকার কয়েক কোটি টাকা করে বাকি আছে। কোর্টেও যে পড়ে আছে সেটা অবশ্য জানতাম না। এগুলো আমি জানলাম। দেশের মানুষ জানলেও মনে হয় ভালো হতো। কারণ এই বাকিটাতো থাকার কথা ছিল না। বিজ্ঞাপনের টাকা প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা থাকে। কেন বাকি পড়ছে এটা আসল বিষয়।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেও সব মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়েছিলাম। আমরা পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। আপনারাও বড় বড় মন্ত্রণালয়, বিচারপতির নজরে আনেন কোর্টে কতো কোটি টাকা বাকি। এটা করলে আমার মনে হয়, প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দেবেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ন্যায় ও ন্যার্যতার ভিত্তিতে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত সেভাবে করার চেষ্টা করছি সেটাই আমার কাজ। নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মনীতিহীন চলছে, এভাবে এ মাধ্যমটা চলতে পারে না। অনেক নিয়মনীতি আছে কিন্তু যেগুলোতে নেই সেখানে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email