সচেতনতার মাধ্যমেই ৯০ শতাংশ এডিস মশা কমানো সম্ভব : এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 9:04 pm | August 06, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই ৯০ শতাংশ এডিস মশা কমানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছি, টেলিভিশনে টিভিসি প্রচার করছি। সেই হিসেবে আমরা মনে করছি আমরা রাইট।

এডিস মশা নিধনকে চ্যালেঞ্জ মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ মনে করেই আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। মাঠে আমি নিজেও আছি। এই চ্যালেঞ্জ শুধু বাংলাদেশে নয়। সিঙ্গাপুরের মতো দেশ সেখানে ১৩ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের রিপোর্ট।’

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সিটি করপোরেশনগুলো দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত আমাদের সাথে কথা বলছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের ঘাটতি থাকতে পারে। ১৫৪ জন কর্মকর্তাকে প্রতি ওয়ার্ডে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।

‘ওষুধ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক আছে, ভারতে গিয়ে শুনেছি এই সিজনে যে সব ওষুধ কার্যকরের মাত্রা বেশি পেয়েছেন পরবর্তী সিজনে হয়তো কার্যকারিতা কমে গেছে। আপনারা সবাই জানেন, বাসাবাড়িতে সবাই অ্যারোসল ব্যবহার করি, আগে হয়তো দেখা যেত একবার অ্যরোসল মারলে সব মশা মরে যেত। এখন দেখা যায় সবগুলো মশা মরে না। এসব কিছু চ্যালেঞ্জ আছে’ বলেন মন্ত্রী।

কেউ বসে নেই জানিয়ে তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, সিটি করপোরেশনের কাছে ওষুধ মজুদ আছে। গাজীপুরের মেয়র বলে গেলো ২০ টন ওষুধ নিয়ে এসেছে, হু সার্টিফাইড। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দক্ষিণের কাছে ১০ টন ধার নিয়েছে। সিটি করপোরেশনের যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, আমি অঙ্গীকারবদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে তা সমাধান করার জন্য।

ডেঙ্গুর ঘনত্ব সব জায়গায় সমান হয় না, এক প্রশ্নের জবাবে বলছিলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার মনে হয় গুলশানে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের মধ্যে ডেঙ্গুর সংখ্যা কম হবে। কারণ, এডিস মশার গায়ে শক্তি কম সে বেশি দূর উড়তে পারে না। আর যেখানে হরিজেন্টাল বাড়িঘর সেখানে প্রাদুর্ভাব বেশি হবে। কলকাতা বললো, এবার আক্রান্ত হওয়ার কম কারণ হলো বৃষ্টি আগের তুলনায় অনেক কম হয়েছে।

বহির্বিশ্বের ডেঙ্গু রোগীর তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, ফিলিপাইনে এক লাখ ৩৮ হাজার এই মুহূর্তে অ্যাফেক্টেড। ব্যাংকক পোস্ট পত্রিকার তথ্য দিয়ে বলেন, থাইল্যান্ডে বছরের প্রথম ৬ মাসে ২০ হাজার ৭শ মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। গত ৪ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরে ১৪ হাজার ৯’শ জন অ্যাফেক্টেড এবং ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

‘এডিস মশা কীভাবে বাংলাদেশে আসছে’ এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো রোগী ওখানে অ্যাফেক্টেড হয়ে আসছে অথবা কিছু মশা যানবাহনের ভিতরে অর্থাৎ, ফ্লাইটের ভিতরে চলে আসছে। একটি-দু’টি যদি কোনোরকমে আসতে পারে তাহলে সে মশাটা যদি এক হাজারটা ডিম পেড়ে ফেলে তাহলে তো এক হাজারটা মশার উৎপত্তি হয়ে গেলো।

আর এক হাজার মশা প্রত্যেকটাই জীবাণু বহন করছে। তাহলে এক হাজার মানুষকে যদি কামড়াতে পারে তাহলে এক হাজার জন অ্যাফেক্টেড হবে। অর্থাৎ, এটা গ্রামাটিক্যাল বিস্তার লাভ করতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক না হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। সারা পৃথিবী এই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করছে কনটিনিয়াসলি, আমরাও এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মাথায় রাখতে চাই।

কালের আলো/আরআর/এএ