ভিড় কমেছে বার্ন ইনস্টিটিউটে, আজও প্রবেশে কড়াকড়ি

প্রকাশিতঃ 10:08 am | July 23, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:

উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহতদের দ্রুত নেওয়া হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এরপর থেকেই সেখানে উপচেপড়া ভিড় লেগেই ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গেটে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে সেনাবাহিনী। এতে ভিড় অনেকটাই কমে গেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) লোকসমাগম একেবারে নেই বললেই চলে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের পুরো এলাকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেই উৎসুক জনতার ভিড়। শুধু বিমানে বিধ্বস্ত হতাহতদের স্বজন আর অন্যান্য রোগীদের আত্মীয়-পরিজনদের, চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের দেখা গেছে।

সকালে ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখা যায়, প্রবেশদ্বারে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন গেটে আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারিতে দায়িত্ব পালন করছেন। গণমাধ্যমকর্মীদেরও আজ নিচে কিংবা ভিতরে অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত কোলাহল ও জনসমাগম এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাড়তি ভিড়ে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই আজ সকাল থেকেই কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল হাসপাতালের স্টাফ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন।

এদিকে, হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ‘হেল্প ডেস্ক’ লেখা থাকলেও সেসব ব্যানারের নিচে দেখা যায়নি কোনো কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবককে। এতে কিছুটা হতাশা থাকলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি কোনো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, তখন গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।

এর একদিন আগেই, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বার্ন ইনস্টিটিউটে ছিল ভিন্ন দৃশ্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা এসে ভিড় করেছিলেন। বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গের শতাধিক নাগরিকের উপস্থিতি জনসচেতনতা ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল।

এদিকে, সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্যমতে, ১৬৫ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন মারা গেছেন এবং ৪৬ জন চিকিৎসাধীন। এছাড়া ঢাকা সিএমএইচ, কুয়েত মৈত্রী, ঢাকা মেডিকেল, উত্তরা আধুনিক ও অন্যান্য হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে।

কালের আলো/এএএন