বদলে গেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, নতুন উচ্চতায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

প্রকাশিতঃ 10:50 pm | March 06, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

অতীতে বিভিন্ন সময়ে নেতিবাচক শিরোনাম হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। কিন্তু মো.তাজুল ইসলাম এমপির অভিভাবকত্বে রীতিমতো বদলে গেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। তাঁর নৈতিক দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং রাউন্ড দ্য ক্লক জনস্বার্থে নিজের নিবেদন এবার বৃহৎ পরিসরেই উচ্চারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মন্ত্রী তাজুল ইসলামের অনবদ্য নেতৃত্বের নানা দিক উপস্থাপন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মেয়র আতিকুল, অঙ্গীকার সবুজ-অক্সিজেনের ঢাকার

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম নিজেও মেয়র আতিকুল ইসলামের প্রশংসা করেছেন। মেয়রের যোগ্য নেতৃত্বেই ডিনসিসির বাসিন্দারা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বলে মনে করেন মন্ত্রী। রোববার (০৬ মার্চ) দুপুরে ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১)’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন বিষয়াদির অবতারণা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শপথ সেনাপ্রধানের

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুরন্ত-দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য মেয়র আতিকুল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলামকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একজন কর্মতৎপর ব্যক্তিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান আতিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুনঃ ঢাকাকে আধুনিকায়ন-সবুজায়ন ও বসবাসের উপযোগী করার টার্গেট প্রধানমন্ত্রীর

এই প্রেক্ষাপটে তিনি করোনা দুর্যোগের শুরুর সময়কার ঘটনাপ্রবাহ আলোকপাত করেন। দু:সহ সেই সময়ের বাস্তবতা তুলে ধরে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ডিএনসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাননীয় মন্ত্রীকে বিপদে-আপদে সব সময় পাশে পেয়েছি।

বিশেষ করে করোনার সময় সবাই আমরা যখন ঘরে বসেছিলাম তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ডাক দিয়েছিলেন তখন আমরা সবাই মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে মাঠে নেমে পড়েছিলাম। ওই সময় সব কাউন্সিলরসহ মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে মিরপুরে ওষুধ ছিটানো হয়। মাননীয় মন্ত্রী সব সময় মাসে একটি বা দু’টি মিটিং করেন। আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এমন একজনকে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আতিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বর্জ্য বেশি হচ্ছে। আগে কালার টেলিভিশন, ফ্রিজ পেতাম না। এখন এগুলো ঘরে ঘরে। আমরা আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করেছি। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় মন্ত্রীকে তিনি আমাদের লিড দিচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য আপনার বড় উপহার।’

‘প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন পূরণ করার নির্দেশ দেন’
এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘ঢাকার অনেক সমস্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমাধান হয়েছে। আপনি একজন মাত্র মানুষ (প্রধানমন্ত্রী) যিনি স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য নির্দেশ দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোটা বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবন ব্যয় করেছেন। সারাজীবন জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন ভোগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আশা পূরণের জন্য স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নতশীল দেশের কাতারে চলে গেছে, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনো ঘাটতি নেই। সবার খাবার আছে, কাপড় আছে, শিক্ষা আছে। কেউ না খেয়ে নেই। মূলত দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে বলেই দ্রুত এসব সম্ভব হচ্ছে।’

বিএনপি-জামায়াত সরকারের উদ্দেশে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিন্তু কিছু মানুষ এসব উন্নয়ন চোখে দেখতে পারছে না। তারা ভালো কিছু দেখে না, শুধু সরকারের খারাপ কাজ দেখে। আজকে দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে। অথচ তাদের সময়ে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। আজকে তারা বলে দেশের অবস্থা নাকি ভালো না।’

তাই নিজেদের দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না। তাদের কাজেই বাসে আগুন দেওয়া ও মানুষ হত্যা করা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘এখন খুন-ধর্ষণ কমে গেছে। রাতে মেয়েরা নির্ভয়ে চলাচল করতে পারছে। তারা অফিস শেষ করে নিরাপদে বাসায় ফিরছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আপনার কল্যাণে।’

এ সময় ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঢাকা যেভাবে গড়ে উঠেছে, এই নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যেভাবে গড়ে উঠবে না। এই ওয়ার্ডগুলোতে নিয়মিত গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-সুয়ারেজের লাইনের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হবে না। পরিকল্পিতভাবে এবং আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে এসব গড়ে উঠবে। ফলে জনগণ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে।’

রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে। খনন করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নদীর সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। ফলে শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

কালের আলো/এসবি/এমএম